যে গ্রামের সবাই মার্শাল আর্ট জানে
কুংফু চমৎকার একটা জিনিস। মানুষ আত্মরক্ষার জন্য এই কুংফু ব্যবহার করে। কুংফু হচ্ছে এক প্রকারের কারাতে বা মার্শাল আর্ট। তোমরা চীনা সিনেমায় নিশ্চয়ই কুংফু দেখেছ? কুংফুর নাম এলেই চোখে ভেসে উঠবে চীনা ছবির নানা দর্শনীয় কসরতে যুদ্ধের চিত্রগুলো। এসব দেখে একসময় হয়তো চীনা মানেই কুংফু, কিংবা কুংফু মানেই চীনা মনে হয়েছে। চীনে কুংফুকে বলা হয় ‘উ শু’। তাদের অনেকেই কুংফু পারতেই পারে, কিন্তু যদি বলা হয় একটি এলাকার শিশু, বৃদ্ধ, পুরুষ, মহিলা সবাই পারদর্শী এই কুংফু কারাতেতে, কতটা বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে তা? বিশ্বাসযোগ্য হোক বা না হোক চীনের মধ্যাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকা তিয়ানঝুর গ্রাম গাংঝি দং-তে ব্যাপারটা একেবারেই স্বাভাবিক এবং সত্য।
গাংঝি দং একটি পাহাড়ি গ্রাম, পাহাড়ের ঢালে ঢালে ঝোপঝাড়ের ফাঁকে শোভা পায় কুঁড়েঘর। এই গ্রামটিতে বাস করে চীনের একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এদের মূল পেশা হচ্ছে কৃষিকাজ। কিন্তু বিস্ময়করভাবে এ গ্রামের পুরুষ, নারী, শিশু সবাই কুংফু বা মার্শাল আর্টে পারদর্শী। সবাই মার্শাল আর্ট পারাটা হচ্ছে তাদের ঐতিহ্য। বহু বছর ধরে তারা এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই তারা মার্শাল আর্ট ব্যবহার করে। এদের এই চমৎকার ঐতিহ্যের পেছনের সঠিক কোনো ইতিহাস জানা যায় না। তবে ধারণা করা হয়, অনেক বছর আগে এ গ্রামের মানুষ এবং গৃহপালিত পশু প্রায়ই হিংস্র পশুর আক্রমণের শিকার হতো।
আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গ্রামের যুবকদের বিভিন্ন হিংস্র পশু, যেমন ড্রাগন, বাঘ, চিতা, সাপ ইত্যাদির সঙ্গে লড়াই করার জন্য মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষিতরা তাদের পরিবারের সদস্যদেরও মার্শাল আর্ট শেখালে একসময় সবাই মার্শাল আর্টে পারদর্শী হয়ে ওঠে। আরো ধারণা করা হয়, তাদের বাড়িঘরে প্রায়ই আশপাশের লোকজন হামলা ও লুটপাট চালাত। তাদের প্রতিরোধের জন্য মার্শাল আর্টের শিক্ষক এনে সবাই কুংফু-কারাতে শেখে। তারপর অনেক সময় কেটে গেছে। কারাতে শেখার কারণ যাই হোক না কেন, ছেলে-বুড়ো সবাই এখনো সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে, যা সত্যি বিস্ময়কর।
অডিটি সেন্ট্রালের ওয়েবসাইটে গেলে পাবে এর বিস্তারিত তথ্য।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন