যে ছবি এখনকার বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি…
‘বিচার চাই না, শুভবুদ্ধির উদয় হোক’ বলে গোটা বাংলাদেশটাকেই নাড়িয়ে দিয়েছেন যে শিক্ষক-দার্শনিক; সেই অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের একটি ছবি গতকাল ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ছবিটি তুলেছেল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অ্যাকটিভিস্ট রাজীব মীর। ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘যে দেশের দার্শনিকের চোখে জল, সে দেশের নদীগুলো নিশ্চয় শুকিয়ে গেছে।’ ওই ছবি তোলার প্রতিক্রিয়া জানতে প্রিয়.কম-এর তরফে আমরা কথা বলি রাজীব মীরের সঙ্গে। তিনি জানান, ‘বাংলাদেশে বিদ্যমান অস্থিতিশীলতা, ভয়াবহতা, সংকটময়তা হয়তো এখন বলে বোঝানো যাবে না। কিন্তু এই ছবি তা পারবে। আমি মনে করি, স্যারের এ ছবিটি কেবল ছবি নয়, এটিই বাংলাদেশ।’ প্রচলিত রাজনৈতিক সংস্কৃতি সবকিছুকে রাজনীতিকীকরণ করছে বলে মনে করেন রাজীব মীর।
এই অধ্যাপক-অ্যাক্টিভিস্ট বলেন, ‘রাষ্ট্রের এমন কঠিন বিষয়গুলো সাধারণ মানুষের পক্ষে তাদের ভাষা, জ্ঞান, দক্ষতা দিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করা সম্ভব নাও হতে পারে। কিন্তু স্যারের এ ছবিটি দেখলে প্রতিটি মানুষ তার কাণ্ডজ্ঞানের সাথে মিলিয়ে প্রকৃত ঘটনা অনুধাবন করতে পারবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘সন্তানহারা একজন পিতার বক্তব্য নিয়ে দেশে একজন হানিফের বক্তব্যর প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে তারই নিদর্শন এই ছবি। এই ছবি কেবল ছবি নয়, এটি বাংলাদেশের সংগঠিত আন্দোলনের রূপরেখা, সংগ্রামের আবহ, বাংলাদেশের মানুষ, দেশের প্রতিচ্ছবি, দেশ ও জাতির ভবিষ্যত।’ এই ছবি প্রসঙ্গ এবং দেশের বর্তমান বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে কবি হেলাল হাফিজের একটি কবিতার কথা উল্লেখ করে রাজীব মীর বলেন, ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়…।’
অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের কান্নারত ওই ছবিটিকে ঘিরে যেন জেগে উঠেছে সারা বাংলাদেশের বিবেক। একজন সন্তানহারা বাবার গভীর দার্শনিক বোধে উদ্ধুব্ধ হয়ে এরইমধ্যে হয়েছে নানান ধারার প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ। জীবনের আহ্বানে মৃত্যু প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। গেল শনিবার রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একইদিন ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বইয়ের আরেক প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুলসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। এর আগে দুর্বৃত্তদের হাতে মোট পাঁচজন ব্লগার খুন হয়েছেন। এই সবগুলো ঘটনার দায় কোনো না কোনোভাবে স্বীকার করেছে ‘আনসারুল্লাহ বাংলা’ টিম। তদন্তে এমন বিষয় উঠে এসেছে বলে বারবার দাবি করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ভারতে গ্রাহাম স্টুয়ার্ট স্টাইন নামের একজন ধর্মযাজককে পুড়িয়ে মারার প্রতিক্রিয়ায় ঠিক এভাবেই তার স্ত্রী বলেছিলেন, যারা এই কাজ করেছে ঈশ্বর যেন তাদের ক্ষমা করেন। শুভবুদ্ধির উদয় চেয়েছিলেন তিনিও। সূত্র- প্রিয়
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মাস্ক-স্যানিটাইজার-দূরত্বে কি এইচএমপিভি ঠেকানো সম্ভব?
চীনের উত্তর অঞ্চলে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি ভাইরাস আক্রান্ত মানুষেরবিস্তারিত পড়ুন
‘জুলাই ঘোষণাপত্রে’ কিছুটা সময় লাগতে পারে, ধৈর্য ধরার আহ্বান
শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমবিস্তারিত পড়ুন
শফিকুল আলম: ফেব্রুয়ারির মধ্যে সবাই নতুন বই পাবে
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সবার হাতে নতুন বই দেওয়া হবেবিস্তারিত পড়ুন