যে জাদুঘর হতে পারে দুঃস্বপ্নের কারণ
জাদুঘর বলতে আমরা বুঝি ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের সমন্বয়। যেখান থেকে আমরা আমাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে পারি। খুঁজতে পারি হারিয়ে যাওয়া সভ্যতার ঠিকানা।
একটু ভালো সময় কাটানোর জন্য হলেও জাদুঘরে যাওয়া উচিত। তবে এমন জাদুঘরে যাওয়া আপনার উচিত হবে কি না জানি না, যেখানে গেলে সেই স্মৃতি দুঃস্বপ্নের মতো আপনাকে পিছু তাড়া করবে। অবশ্য এ ভাবনা শুধু দুর্বল চিত্তের মানুষদের জন্যই। সেখানে গেলে এমন সব জিনিস আপনি সুরক্ষিত দেখতে পাবেন যেগুলো শুধু শাস্তি দেওয়ার সরঞ্জাম হিসেবে এক সময় ব্যবহৃত হতো।
নেডারল্যান্ডসের আমস্টারড্যামে এই শাস্তির জাদুঘর অবস্থিত। এটি মূলত স্প্যানিশদের তদন্তের ফল। তারা মধ্য যুগের বিভিন্ন শাস্তি দেওয়ার যন্ত্র নিয়ে গবেষণা করে এই জাদুঘর তৈরি করেছে। মধ্য যুগের রাজা-বাদশারা কীভাবে তাদের অপরাধী প্রজা এবং যুদ্ধবন্দীদের শাস্তি দিতেন, সেইসব যন্ত্র এই জাদুঘরে রাখা আছে।
যন্ত্রগুলো মধ্য যুগের মানুষের বর্বরতা ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ করে না। ধর্ষণও সে সময় শাস্তি হিসেবে প্রচলিত ছিল! অন্তত এমন ধারণা আপনি জাদুঘর থেকে পেতে পারেন। মানুষকে কীভাবে যন্ত্রণা দিয়ে মারা যায় তার দৃষ্টান্ত এগুলো। যন্ত্রের সাথে রয়েছে বিভিন্ন সময়ের শাস্তি দেওয়া অবস্থার ছবি। যা সত্যি খুব ভীতিকর।
chair
এখানে রয়েছে সুক্ষ্ম পিন দিয়ে সজ্জিত চেয়ার, মাথার খুলি কেটে ফেলার যন্ত্র, শরীর থেকে হাত এবং পা ছিড়ে ফেলার যন্ত্র, মাথার খুলি ছিদ্র করে ফেলার যন্ত্র। এ ছাড়া আরো অনেক কিছু। জাদুঘরটি খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। বড়দের জন্য ৫ ইউরো এবং ছোটদের জন্য ২.৫০ ইউরো প্রবেশ মূল্য। একটি অন্ধকার করিডোর পার হয়ে তবে এই জাদুঘরে প্রবেশ করতে হয়।
যারা দুর্বল চিত্তের মানুষ তাদের এই জাদুঘরে না যাওয়াটাই ভালো। আর এখানে ঘুরতে আসা দর্শকদের অনুরোধ করা হয়, তারা যেন কোনো কিছু খেয়ে বা খাবার নিয়ে এই জাদুঘরে প্রবেশ না করে। কারণ জাদুঘরে প্রবেশের পর অনেকেই ভয়ে বা অস্বস্তিতে বমি করে দেন।
শুধু কয়েকটি ছবি দেখে আপনি এই জাদুঘর নিয়ে যা ভাবছেন এটি তার থেকেও ভয়ংকর। সেখানে গিয়ে হয়তো আপনি পুরোটা না দেখেই বের হয়ে যেতে চাইবেন। আর এই শাস্তির জাদুঘরটি আপনার রাতের দুঃস্বপ্নেরও কারণ হয়ে উঠতে পারে। তবে ভিন্ন কোনো অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন এই জাদুঘর থেকে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন