যে প্রেমের শেষ কাহিনি অ্যাম্বুলেন্সে..!!
দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। সেই সম্পর্ককে পরিণতি দিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। সেইমতো তাঁরা ঠিক করেন, এক গণবিবাহের মঞ্চে তাঁরা বিয়েটা সেরে ফেলবেন। কিন্তু বিধি বাম। এর আগে এক দুর্ঘটনায় কবলে পড়ে পাত্রীকে যেতে হয় হাসপাতালে। এই অবস্থায় নিজেদের ভালোবাসাকে পরিণয় দিতে ওই গণবিবাহের মঞ্চের কাছেই অ্যাম্বুলেন্সে তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
চমকপ্রদ এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের বেঙ্গালুরু শহর থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে চিত্রদুর্গা জেলায়। এই চিত্রদুর্গা জেলার উইন্ডমিল প্রজেক্টে কাজ করতেন গুরুস্বামী। ওই অঞ্চলের বাসিন্দা নেত্রাবতী। নার্সিংয়ে ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী তিনি। তাঁরাই এই অভিনব কায়দায় বিয়ে করেছেন।
জানা গেছে, গত ২৩ মে নেত্রাবতী ও গুরুস্বামী ঘুরতে যান ঐতিহাসিক চিত্রদুর্গা দুর্গে। সেখানে গিয়ে ফোর্টের ভিতর পড়ে যান নেত্রাবতী। গুরুতর আহত হয়ে বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। এদিকে এই পরিস্থিতিতে ২৬ মে গণবিবাহের মঞ্চে নেত্রাবতীর যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। বিয়ের আগে এই ধরনের দুর্ঘটনায় নেত্রাবতী হতাশ হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারেন। এই ভেবে গুরুস্বামী ঠিক করেন, নির্ধারিত দিনেই নেত্রাবতীকে যেভাবেই হোক গণবিবাহের মঞ্চে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করবেন। গুরুস্বামীর এই সিদ্ধান্তে রাজি হয়ে যান নেত্রাবতীও। ওইদিন বেঙ্গালুরুর হাসপাতাল থেকে ২০০ কিলোমিটার অ্যাম্বুলেন্সে করে গণবিবাহের মঞ্চে পৌঁছে যান নেত্রাবতী। কিন্তু বিবাহ মঞ্চে পৌঁছালেও শিরদাঁড়া ও কোমরের হাড় ভেঙে যাওয়ায় অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামতে পারেননি নেত্রাবতী।
এমনকি সোজা হয়েও বসতে পারেননি তিনি। অগত্যা গণবিবাহের দায়িত্বে থাকা স্বামী মুর্গামট ঠিক করেন, অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই বিয়ে দেওয়া হবে নেত্রাবতী ও গুরুস্বামীর। সেই মতো অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই মালাবদলসহ বিয়ের সব কাজ সম্পন্ন হয়।
বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে অবশ্য নেত্রাবতী ওই অ্যাম্বুলেন্সে করেই ফের ফিরে গেছেন ২০০ কিলোমিটার দূরের বেঙ্গালুরুর ওই বেসরকারি হাসপাতালে। নেত্রাবতীর সঙ্গে হাসপাতাল পর্যন্ত গুরুস্বামীও গেছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন