মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

যে মানুষগুলো ধনী হলেও ভীষণ কিপ্টে

একজন মানুষ সারাটা জীবন টাকার পেছনে দৌড়ায় কেবল একটাই কারণে। আর সেটি হচ্ছে সুখ। সুখকে ধরার জন্যে কতই না কষ্ট করে মানুষ। মাথার সমস্ত নিউরনকে ব্যবহার করে, শরীরের প্রতিটি কোষকে কাজে লাগিয়ে সবসময়ই সে চেষ্টা করে অন্যের চাইতে আরো একটু এগিয়ে থাকতে, ভালো থাকতে। কিন্তু এবার যাদের কথা বলব তারা কিন্তু প্রচুর সম্পদের মালিক হলেও অন্যদের চাইতে একটু বেশি আলাদা। টাকা-পয়সা তাদের কাছে খরচ করার নয়, বরং জমিয়ে রাখবার জিনিস। আর তাই যথেষ্ট টাকা থাকলেও অত্যন্ত সাধারণ জীবন-যাপন করেন তারা। এক কথায় যাদেরকে আমরা বলতে পারি-কঞ্জুস! চলুন দেখে আসি পৃথিবীর বিখ্যাত এমন কিছু কোটিপতি কঞ্জুসকে।

১. জং কুইঙহাউ
কোন একটা অনুষ্ঠানে গিয়ে যদি দেখতে পান বাকি সবাই আপনার চাইতে দামী আর ভালো কাপড় পড়ে এসেছে তাহলে কেমন লাগবে আপনার? জঙ এর সাথেও ঠিক এমনটাই হয়েছিল। সেবার বন্ধুর বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়ে হঠাত্ করেই নিজেকে বড্ড বেশি বেমানান হিসেবে খুঁজে পেলেন জঙ। অনুষ্ঠানে সবাই ধোপদুরস্ত কোট-স্যুটে এলেও একমাত্র জং ছিলেন পুরনো জ্যাকেটের ভেতরে। কেমন লেগেছিল জঙ এর? নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে চীনের অন্যতম ধনী হিসেবে খ্যাত এই মানুষটি বলেন- “ মানুষ বলতে পারবেনা তুমি ১০০০ টাকার কাপড় পড়েছ নাকি ১০০ টাকার। তাহলে তাদের জন্যে খরচ করে কি লাভ? “ শুধু কাপড়েই নয়, জীবনের চলার সব পথেই সবসময় টাকাকে অনেক বেশি হিসেব করে খরচ করে এসেছেন হুয়াংজহাউ ওয়াহাহা গ্রুপের এই প্রতিষ্ঠাতা। বিনিময়ে কি পেয়েছেন? পেয়েছেন চীনের সবচাইতে ধনী ব্যাক্তি হওয়ার সম্মান। বর্তমানে তার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২০.৮ বিলিয়ন। কিন্তু তাতে কি? একেবারেই নিজেকে বদলাননি জঙ। সেই যে একেবারে ছোট্ট একটা জায়গা থেকে কোনরকম লোকবল, চেয়ার-টেবিল কিংবা ঘর ছাড়াই শুরু করেছিলেন তিনি, তখনকার স্মৃতি এখনো ভোলেননি তিনি। আর তাই এতটা দূর পেরোবার পরেও মিতব্যায়ীতা ছাড়তে পারেনি তাকে। সাধারণ কাপড়, সাধারণ রেঁস্তোরায় খাওয়া, সব্জি আর টাকোতেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখা, বিমানে ভ্রমণ করলেও খুব কম খরচ করা- এসবই জঙএর দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। নিজের খাবার নিয়ে জানান এটাই তার জন্যে যথেষ্ট। খাবার কিংবা অন্যকোন ব্যাপার কোনরকম শখকে প্রশ্রয় দেননা জঙ। তার মতে সেসব শখ তাকে অমনোযোগী করে তুলবে ব্যবসার প্রতি। আর তাই এখনো অব্দি নিজের পুরোন জীবনেই পড়ে আছেন চীনের এই ধণাঢ্য ব্যাক্তিটি।

২. জন কাওডওয়েল
জন কাওডওয়েল? আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে নামটিকে নিয়ে। মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী এই মানুষটির কি নেই? ইয়ট, বিমান কিংবা ভালো গাড়ি- সবটাই রয়েছে। তাহলে তিনি কেন এই তালিকায়? কারণ আর কিছু নয়। দৈনন্দিন জীবনে নিজের মিতব্যায়ীতা। প্রথম দেখায় কোন মানুষ ধনী নাকি গরীব সেটা কি করে জানবেন আপনি? তার দৈনন্দিন চলা-ফেরা দেখার পরেই তো। আর সেটা যদি কেউ করে তাহলে নিশ্চিতভাবে পৃথিবীর অন্যতম ধনীর তালিকায় খুব সহজেই জনকে ফেলে দেওয়া যাবে যারা কিনা প্রচন্ড রকম মিতব্যায়ী। প্রতিদিনের কাজ-কর্মে নানারকম কত খরচই তো হয় আমাদের। কিন্তু ২.৬ বিলিয়ন ডলারের মালিক এই মানুষটি কখনোই সেটা করেন না কিংবা করতে চাননা (ডেইলি মেইল )। কি করে নিজের খরচ বাঁচান তিনি? সব কাজ নিজের হাতে সম্পাদন করে! শুনতে অদ্ভূত লাগলেও জন কখনোই বাড়ির বাইরে গিয়ে চুল কাটান না। বরং নিজের চুলে কাঁচি চালান নিজেই। সেলুনে যাওয়া মানেই যে এতগুলো টাকা বেরিয়ে যাওয়া। সেটাকে এড়িয়েই চলেন তিনি। দামী নয়, সস্তা কাপড়েই স্বস্তি পান জন। অবসরে যাওয়ার আগে প্রতিদিন ১৪ মাইল গাড়ি চালিয়ে অফিসে পৌঁছতেন তিনি। যদিও একজন চালক রাখা তার জন্যে খুব একটা অসুবিধার ছিলনা। এখনো টানা ৪০ মাইল গাড়ি চালিয়ে ছুটির দিনে নিজের পছন্দের পাবে যান জন। তবে নিজের ব্যাপারে যথেষ্ট মিতব্যায়ী হলেও গরীবদের সাহায্য করতে সবসময়েই হাত বাড়িয়ে দেন এই মানুষটি। সে ব্যাপারে কোনরকম কার্পণ্য দেখাননা তিনি।

৩. ইঙ্গভার ক্যামপার্ড
সুইডেনের বিখ্যাত আসবাবপত্রের প্রতিষ্ঠান IKEA-এর নাম শোনেননি এমন মানুষ খুব কমই আছেন। কিন্তু এর প্রতিষ্ঠাতা ইঙ্গভার ফিওডোর ক্যাম্পার্ডকে কয়জন চেনেন? আর চিনলেও তার সম্পদের মাত্রা সম্পর্কে ঠিক কতটা জানেন? প্রথম দেখায় একেবারেই বোঝা সম্ভব নয় সেটা। খুব সাধারন আরো দশটা মানুষের মতন দেখতে, চলতে ও থাকতে পছন্দ করেন ইঙ্গভার। আর তাতেই অভ্যস্ত তিনি। ৪৩.২ বিলিয়ন সম্পদের মালিক এই মানুষটি বর্তমানে সুইজারল্যান্ডের বাসিন্দা। সেখান থেকেই নিজের প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনা করেন তিনি। চালান ১৯৯৩ সালের একটি ভলভো ২৪০ গাড়ি। সাধারনত বিমানে চড়লে ইকনোমি ক্লাসে উঠতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন ইঙ্গভার। নিজের প্রতিষ্ঠানের সব কর্মীকে কাগজ অপচয় করতে নিষেধ করেন তিনি। আর তাই কাগজের দুপাশেই যেন লেখে তারা এটা বারবার নিশ্চিত করতে চান। নিজের প্রতিটি পদক্ষেপে মিতব্যায়ীতার নিদর্শন রাখেন ইঙ্গভার। কখনো সচেতনভাবে, কখনো অসচেতনভাবে! রেঁস্তোরায় গেলে সবসময়েই লবণ আর মরিচের প্যাকেটটি পকেটস্থ করে বাসায় নিয়ে আসেন তিনি ( ফোর্বস )। ভোলেন না একবার ব্যবহৃত টি-ব্যাগকে পুনরায় ব্যবহার করতেও। অফিসে সবসময়েই কঠোরভাবে খরচ দমাতে চাওয়া ইঙ্গভারকে এখনো প্রায় অফিসে যেতে দেখা যায়। তবে প্রায় সময়েই সেটা বিনা পয়সায় খাওয়ার জন্যে। ব্যাক্তিগত জীবনে এতটাই মিতব্যায়ী বিশ্বের অন্যতম এই ধনী লোকটি যে বড়দিনের উপহারও তিনি বড়দিনের আগে কেনেননা বেশি টাকা খরচের ভয়ে। তারমানে কি তিনি বড়দিনে কাউকে উপহার দেননা? দেন তো! তবে সেটা কেবল বড়দিনের পর সস্তায় যখন উপহার কিনতে পাওয়া যায় তার পরেই!

৪. মার্ক জাকারবার্গ
গায়ে ধূসর একটা গেঞ্জি আর মাথায় খুব সাধারন হুডি- চিনতে পারছেন তো মানুষটিকে? মানুষটি আর কেউ নয়, পৃথিবীর সর্বকনিষ্ঠ কোটিপতিদের তালিকার প্রথমে থাকা ফেসবুকের জনক মার্ক জুকারবার্গ। কত পোশাকই না কিনতে পারেন মার্ক। বিশেষ করে তার মোট সম্পদের পরিমাণ যখন ৩৮.৬ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু না! কোন দামী পোশাকে নয়, সাধারন টি শার্ট আর জিন্সেই সবচাইতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। আর সেই সাথে সবার মনকে জয় করে নিতে পারার মতন কোটি টাকা দামের হাসি! বাড়ি কেনার চাইতে বাড়ি ভাড়া করে থাকতেই পছন্দ মার্কের। আর তাই এখনো অব্দি পাওলো আল্টোর ভাড়া বাড়িতেই বাস করেন তিনি। চালান কোন অত্যন্ত দামী গাড়ি নয়, ২২,০০০ ডলারের অ্যাকুরা। আর তার কারণ এটা অনেক বেশি নিরাপদ। তবে নিজের জীবনকে অনেক বেশি ভালোবাসেন মার্ক। স্ত্রীকে নিয়ে কোন দামী রেঁস্তোরা নয়, হানিমুনে খেতে গিয়েছিলেন মার্ক ম্যাকডোনাল্ডসে। তাও আবার খেয়ে ফিরে এসেছিলেন কোনরকম টিপ না দিয়েই ( টাইমস অব ইন্ডিয়া )। খুব সহজেই বুঝে নেওয়া যায় ঠিক কতটা সাধারন জীবন যাপন করতে আগ্রহী ফেসবুকের জনক।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ