বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

যে ৫ শহরে মৃতদের জায়গা নেই

‘মানুষ মরণশীল’- এ কথা চিরন্তন সত্য। তবে এ কথা পৃথিবীর সব প্রাণীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে, পৃথিবীতে ৫টি শহর রয়েছে যেখানে মৃতদের জায়গা না হওয়ায় প্রশাসন মৃত্যুই নিষিদ্ধ করেছে। আসুন জেনে নেই পৃথিবীর সেই ৫টি শহরের পরিচয়-

লংইয়ারবেন, নরওয়ে
আজব এক কারণে নরওয়ের লংইয়ারবেন এলাকায় মৃত্যু নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ বরফাবৃত হওয়ার ফলে নরওয়ের এই এলাকায় কোনো মৃতদেহই ডি কম্পোজ হয় না। এমনকী বহু বছর আগে কবর দেয়া মৃতদেহও এখানে একেবারে অবিকৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ১৯১৭ সালে ইনফ্লুয়েঞ্জায় মৃত এক ব্যক্তির ত্বকের কোষ থেকে জীবিত ইনফ্লুয়েঞ্জার জীবাণু পেয়েছে দেশটির বিজ্ঞানীরা। যে কারণে এ আজব শহরে মৃতদেহ কবর দেয়ার মতো আর জায়গাই নেই। যার ফলে এ শহরে মৃত্যুকে নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। অন্যদিকে মৃত্যুর আগেই অসুস্থ, বয়স্ক মানুষদের নরওয়ের অন্য শহরে পাঠিয়ে দেয়াটাই এখানকার রীতি।

ফ্যালসিয়ানো দেল ম্যাসিকো, ইতালি
ইতালির ছোট্ট একটি শহর ফ্যালসিয়ানো দেল ম্যাসিকো। এ এলাকায় মৃতদেহ কবর দেয়ার মত জায়গা নেই। আর সে কারণেই মৃত্যুও নিষিদ্ধ এই স্থানে। এখানে কেউ অসুস্থ হলে তাকে পাশের শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মৃত্যু হলে সেই শহরেই কবর দেয়া হয় তাকে।

ইতসুকুশিমা, জাপান
পবিত্র স্থান বলে মান্য করা হয় জাপানের ইতসুকুশিমাকে। ১৫৫৫ সালের মিয়াজিমা যুদ্ধের পর থেকেই মৃত্যু নিষিদ্ধ নিয়মের শুরু এখানে। যুদ্ধে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। জয়ী রাজার নির্দেশ ছিল- সমস্ত মৃতদেহ নিয়ে যেতে হবে ইতসুকুশিমার বাইরে। পরাজিত সেনাদের দিয়েই এই কাজ করিয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, রক্তে ভেজা মাটিও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরিষ্কার করা হয়েছিল প্রতিটি বাড়ি-ঘরও। এরপর ১৮৭৮ থেকে মৃত্যু সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ হয়ে যায় জাপানের ইতসুকুশিমায়। এখানেও অসুস্থ বা মৃত্যুপথযাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হয় ইতসুকুশিমার বাইরে।

সারপুরেনক্স, ফ্রান্স
কবরস্থানের সীমিত জায়গার কারণে এখানে মৃত্যু নিষিদ্ধ। এই সমস্যা গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। কিন্তু শহর প্রসারিত করার আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল এখানকার আদালত। ফলে মৃত্যুই নিষিদ্ধ হয়ে যায় সারপুরেনক্সে।

সেলিয়া, ইতালি
ইতালির সেলিয়া অঞ্চলের জনসংখ্যা গত কয়েক দশকে উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় মেয়র ডেভিড জিচিনেলা আইন প্রণয়ন করে এলাকায় মৃত্যু নিষিদ্ধ করেছেন। এই আইনে মৃত্যু নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি যদি কেউ বয়স্ক ব্যক্তির শরীরের যত্ন না রাখেন তার জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে।

ষাটের দশকে সেলিয়ার জনসংখ্যা ছিল ২০০০-এর কাছাকাছি। বর্তমানে এই শহরে বসবাস করেন মাত্র ৫৬০ জন। তাদের বেশির ভাগেরই বয়স ৭০-এর কোঠায়। এ ভাবে চলতে থাকলে দ্রুত জনশূন্য হয়ে যাবে সেলিয়া। তাই এই পরিস্থিতি রোধে এমন আইন প্রণয়ন করেছেন ডেভিড।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ