যৌতুকের টাকা না পেয়ে সাজেদা আক্তার সাথী (১৮) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী দেলোয়ার হোসেন আকাশ ও তার শশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।

রবিবার রাত ১০টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলার ঘাটতিলকপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

দেলোয়ার হোসেন ঘাটতিলকপুর এলাকার বসনাই গ্রামের দবির হোসেনের ছেলে।

এরপর পুলিশ আজ সোমবার দুপুরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহতের বাবা আলী হোসেন জানায়, সংসার বাঁধার জন্য প্রেমের টানে প্রেমিকের হাত ধরে ঢাকা থেকে ৮ মাস আগে ঘর ছাড়ে নওগাঁয় আসে সাজেদা আক্তার। সংসারে কাল হয়ে দাঁড়ায যৌতুক। ৫ লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য সাজেদার উপর নির্যাতনের শেষ পরিনতি হলো মৃত্যু। নিহতের পর সাজেদার লাশ একটি ভ্যানে করে থানায় রেখে পালিয়ে যায় দেলোয়ারের পরিবার।

নিহত সাজেদার পিতা আলী হোসেন অভিযোগ করে বলেন, যৌতুকের ৫ লাখ টাকার জন্য আমার মেয়েকে প্রায় নির্যাতন চালাতো দেলোয়ার। এ ঘটনার জের ধরে রবিবার রাতে সাজেদাকে মারপিট করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখে। এরপর আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়। আমাকে বলা হয় তার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এদিকে হত্যার ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দেলোয়ারের পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জোর প্রচেষ্টা চালানোর হচ্ছে।

নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি জাকিরুল ইসলাম জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হলেও ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।