‘রমজানের আঁচ’ নিত্যপণ্যে
রোজা শুরুর প্রায় একমাস বাকি থাকতেই ‘রমজানের আঁচ’ বাজারে পণ্যের দামে । রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্যমতে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে:
-পেঁয়াজ, ডাল, ছোলা, চিনি, আদা ও রসুনের দাম কেজিপ্রতি ২ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
-এর মধ্যে আদার দাম বেড়েছে সবচে বেশি; প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
-এছাড়া পেঁয়াজের দাম ৪৮টাকা থেকে ২ টাকা বেড়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
-বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগেও এই ডাল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
-ছোট দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা দরে। গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা ছিল এই ডালের দাম।
-চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪২ টাকা দরে। গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা দরে চিনি বিক্রি হয়েছে।
-ডিমের দাম বেড়েছে প্রতি ডজনে ৫ টাকা। প্রতি ডজন ডিম ৯৫ টাকা থেকে বেড়ে ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
আগামী মাসে ১৮ বা ১৯ তারিখ থেকে রমজান শুরু হবে। গত ১৯ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রমজান মাসে পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যের মজুদ থাকার তথ্য তুলে ধরে বাজার স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তবে এর দুই দিনের মাথায় বাজারে দাম বৃদ্ধির বিষয়টি স্পষ্টই বোঝা গেছে।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাওয়া হলে ‘বিভিন্ন কারণ’ জানিয়েছেন তারা।
পেঁয়াজের জন্য ভারতের কানপুরের অতিবৃষ্টি, ডালের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে তারা বলেছেন নেপালে ভূমিকম্প, ডিমের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা বাড়াকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন তারা। ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের বেশ কিছু ডাল নেপাল থেকে আমদানি হয়। নেপালে ভূমিকম্প হওয়ায় সেখান থেকে আমদানি বন্ধ রয়েছে। কবে থেকে আমদানি শুরু করা যাবে সে বিষয়টিও নিশ্চিত নয়। এর প্রভাব পড়েছে দেশের ডালের বাজারে।”
“এছাড়া এখন ডালের মৌসুম শেষ। বাজারে সরবরাহও কমেছে। যে কারণে দাম বেড়েছে।”
মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা বলেন, “ভারতের কানপুরসহ প্রধান প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এলাকায় অতিবৃষ্টির কারণে সেখান থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে কম, আবার দামও বেশি। যে কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।”
ডিমের দাম বাড়ার বিষয়ে ঠাটারীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুলতান মিয়া বলেন, “এখন খামারিদের খারাপ সময় যাচ্ছে। অতিরিক্ত গরমে মুরগি ও বাচ্চা মারা যাচ্ছে, ডিম নষ্ট হচ্ছে। যে কারণে একটু দাম বেড়েছে।”
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২৩
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থী, মহিলা আওয়ামী লীগবিস্তারিত পড়ুন