রশিদ খান জাদুকরী স্পিনার: মুরালিধরন
আফগানিস্তানের তরুণ লেগ ব্রেক গুগলি-স্পিনার রশিদ খান এক বিশেষ প্রতিভা বলে মনে করেন শ্রীলঙ্কার সর্বকালের সেরা অফ-স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন। চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) টুয়েন্টি টুয়েন্টি ক্রিকেটে বল হাতে দুর্দান্ত নৈপুণ্য প্রদর্শন করে চলেছেন সানরাইজার্স হায়দারাবাদের রশিদ। তার এমন পারফরমেন্সে মুগ্ধ আইপিএলের দল সানরাইজার্স হায়দারাবাদের বোলিং কোচ মুরালি, “বর্তমান যুগে রশিদ এক বিশেষ প্রতিভা। তার জাদুকরী স্পিনের গভীরতা অনেক বেশি। আমাদের দলে স্পিন বিভাগে ও বোলিং লাইন-আপে অনেক বড় অস্ত্র সে। ”
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সহযোগী দেশ যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের উদীয়মান স্পিনার রশিদ। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা দেয়ার পর নিজের জাত চেনাতে থাকেন তিনি। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ২৬ ওয়ানডেতে ৫৩ ও ২৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৪০ উইকেট শিকার করেন মাত্র ১৮ বছর বয়সী রশিদ। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ৯৩ উইকেট শিকার নিয়ে আইপিএলের নিলামে নিজের নাম তুলেন রশিদ। যেখানে তাকে ৪ কোটি রুপিতে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন হায়াদাবাদ কিনে নেয়।
আইপিএলের দশম আসর শুরুর থেকেই হায়দারাবাদের একাদশে রশিদ। ম্যাচ গড়ানোর সাথে সাথে হায়দারাবাদের অটোমেটিক চয়েস হয়ে যান তিনি। কারণ প্রত্যক ম্যাচেই উইকেট শিকার করতে থাকেন রশিদ। এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ১০ উইকেট। ব্যাটসম্যানদের বেকাদায় ফেলতেও বেশ পারদর্শীতা দেখিয়েছেন তিনি। তাই রশিদের পারফরমেন্সে খুব খুশি হায়দারাবাদের বোলিং কোচ মুরালিধরন।
এই সাবেক গ্রেটের ভাষায়, “আমরা দক্ষ একজন স্পিনারের খোঁজে ছিলাম যার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। গতবছর চেষ্টা করেও ভালো স্পিনার পাইনি। অবশেষে এবার আমরা সফলই হয়েছি। রশিদ দারুণ এক স্পিনার। দলের বোলিং বিভাগের ধার অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছে সে। এখন রশিদকে নিয়ে বোলিং পরিকল্পনা সাজাই আমরা। সে অন্যরকম এক প্রতিভা। তাকে ও নবিকে দলে নিতে আমরা অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে চোখ রেখেছিলাম। আমাদের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। আশা করছি মাঠের লড়াইয়েও আমরা সফল হবো। ”
এখন পর্যন্ত ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের প্রতিভা দেখিয়েছেন রশিদ। টেস্ট ফরম্যাটে খেলার সুযোগ পাননি তিনি। কারণ তার দেশ, আফগানিস্তান এখনও বড় ফরম্যাট খেলার ছাড়পত্র পায়নি আইসিসি থেকে। তাই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই রশিদকে বেশি মনোযোগি হতে বলেছেন মুরালি।
তিনি বলেছেন “আফগানিস্তানের টেস্ট ভবিষ্যত নির্ভর করছে আইসিসির উপর । তবে টেস্ট ক্রিকেট ভিন্ন ধরনের ফরম্যাট। সে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের বিশেষজ্ঞ বোলার। টেস্ট ক্রিকেট অনেক কঠিন। টেস্ট খেলতে হলে তাকে আরও উন্নতি করতে হবে। চার বা দশ ওভার বোলিং করার মানসিকতা ভুলে নতুন পরিকল্পনা করতে হবে তাকে। তবে আপাতত রঙ্গিন পোশাকে খেলা নিয়ে তার ভাবা উচিত। সে এখনও তরুণ। তার সামনে দীর্ঘ ভবিষ্যত পড়ে আছে। এখনই তাড়াহুড়া করার কিছু নেই। “
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন