রাজধানীতে এখনো কমেনি গ্যাসের সংকট
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে চলা এ সংকট এ সপ্তাহে আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভোর ৬টার আগে গ্যাস চলে যায়। আসে রাত ১১টার পরে। আবার কোন কোন দিন একেবারেই আসে না।
তবে এ সংকট ২-৩ দিনের মধ্যে সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। মঙ্গলবার বিকেলে বিদ্যুৎ ভবনে সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
গ্যাস সংকটে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চুলা জ্বলছে না। অনেকে মাটির চুলায় রান্না-বান্না করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেন।
রাজধানীর মিরপুর, গ্যান্ডারিয়া, যাত্রাবাড়ী, রামপুরা, সিদ্ধেশ্বরী, বনশ্রী, বাড্ডা, তেজগাঁও, তেজকুনিপাড়া, মগবাজার, ইস্কাটন, নাখালপাড়া, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, মালিবাগ, খিলগাঁও, কমলাপুর, গোলাপবাগ, গোপীবাগ, মানিকনগর, ওয়ারি, পুরান ঢাকা বেশিরভাগ এলাকায় গ্যাস সংকটের কথা জানা যায়।
গেন্ডারিয়ার বাসিন্দা উজ্জল জিসান জানান, গ্যাস সংকটে গত এক সপ্তাহ ধরে বাসায় রান্না হচ্ছে না। কোন চুলা জ্বলছে না। হোটেল থেকে খাবার কিনে খাচ্ছেন তারা। বাচ্চাদের খাবারও গরম করতে পারছেন না তারা। তিনি বলেন, সংকটের সমাধান কবে হবে জানি না। এভাবে চলা যায় না।
একই এলাকার এক দোকানদার জানান, ‘গ্যাস সমস্যার কারণে দোকানে বেচাবিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। মানুষ জিনিস কিনে কি করবে? সেটি রান্না করার কোন উপায় নেই। ভাড়া দিয়ে দোকান চালাই। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলেতো ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। খুব শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।’
রামপুরার আরেক বাসিন্দা জানান, এক সপ্তাহ ধরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তার রান্নাঘরে চুলা জ্বলছে টিমটিম করে। রান্না করতে চরম অসুবিধা হচ্ছে। তিনি বলেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করে অল্প কিছু রান্না করছেন। অনেক সময় রাত জেগে গ্যাসের চাপ বাড়লে রান্না করতে হচ্ছে।
রাজধানীর ইস্কাটন এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, মাস গেলে টাকা ঠিকই দিতে হবে। কিন্তু এখন ছেলে-মেয়ের জন্য রান্না পর্যন্ত করতে পারছি না। এভাবে চলা যায় না।
গ্যাস-সংকটের কারণে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে অনেক সিএনজি স্টেশন। তেজগাঁও, শ্যামপুরসহ বিভিন্ন এলাকার শিল্প-কারখানার উৎপাদনও বিঘ্নিত হচ্ছে গ্যাসের চাপ ঠিক না থাকায়। দিনভর সিএনজি স্টেশনগুলোতে দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে।
রাজধানী ও এর আশপাশের আবাসিকসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে গ্যাস সরবরাহ করে থাকে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। মতিঝিল, মিরপুর ও গুলশান- তিন অঞ্চলে কোম্পানির রয়েছে জরুরি তিনটি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র।
এসব কেন্দ্রের টেকনিশিয়ানরা জানান, তাদের কাছে আবাসিক গ্যাস সংকটের বিষয়ে প্রতিদিন অসংখ্য অভিযোগ আসছে। প্রতিবার শীতকালে গ্যাসের সমস্যা থাকে, তবে, এবার সংকট একটু বেশি।
তিতাস গ্যাস কোম্পানির পরিচালক (উৎপাদন) মীর মশিউর রহমান সমস্যার বিষয় স্বীকার করে বলেন, এক হাজার ৮০০ থেকে প্রায় দুই হাজার মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে পেট্রোবাংলা থেকে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে সার্বোচ্চ এক হাজার সাড়ে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
তিনি দাবি করেন, বিকেল পাঁচটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশনগুলো যখন বন্ধ থাকে, স্থানীয় আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাসের সমস্যা হয় না। অন্য সময় সমস্যা হচ্ছে। তবে, দ্রুতই গ্যাসের সংকট কেটে যাবে বলেও জানান মীর মশিউর রহমান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২৩
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থী, মহিলা আওয়ামী লীগবিস্তারিত পড়ুন