রাজধানীতে বাড়ছে মশার উপদ্রব : মৃত্যু ৪
রাজধানীতে বাড়ছে মশার উপদ্রব। আর দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু রোগ। ইতিমধ্যে মহানগরীতে এ মৌসুমেই ডেঙ্গুতে মারা গেছে ৪ জন। আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণকক্ষের হিসেব মতে চলতি মৌসুমে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৪০ জন । বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি ছিলেন কমপক্ষে শতাধিক রোগী।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মাহমুদুর রহমান জানান, গত পাঁচ বছরের মধ্যে এ মৌসুমের আগস্টে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। আগস্টে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭২৭ জন।
এদিকে সরকারের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, একজন বিদেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তা নিশ্চিত করতে পারেননি।
নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানা গেছে, যে চারজন এখন পর্যন্ত মারা গেছেন, তাঁদের একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও তিনজন বেসরকারি ক্লিনিকে মারা যান। রাজধানীর বড় ৪০টি হাসপাতাল থেকে নিয়মিত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর তথ্য সরকারকে দেয়া হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মেডিসিন অনুষদের ডিন এ বি এম আবদুল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে। এ সময়ে জ্বর বা গায়ে ব্যথা হলে ডেঙ্গুর কথা মাথায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, সাধারণ ডেঙ্গু জ্বর তেমন মারাত্মক রোগ নয়। এ থেকে মৃত্যুহার ১ শতাংশেরও কম।
তবে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার ও ডেঙ্গু শক সিনড্রোম প্রাণঘাতী হতে পারে বলে জানিয়েছেন এই বিশেজ্ঞ চিকিৎসক। অধ্যাপক আবদুল্লাহ বলেন, সাধারণ ডেঙ্গু জ্বরের রোগীর যখন বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের প্রমাণ মেলে তখন একে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বলা হয়। অধিক রক্তক্ষরণের ফলে শরীরের জলীয় উপাদান কমে যায়। এতে রক্তচাপ কমে। এটাই ডেঙ্গু শক সিনড্রোম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে আর ডেঙ্গু হয় না ধারণাটা ঠিক নয়। ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি ভিন্ন প্রজাতি আছে। এর একটি দিয়ে সংক্রমিত হলে সেই প্রজাতির বিপরীতে প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়, কিন্তু পরবর্তী সময়ে অন্যটির মাধ্যমে সংক্রমণ হতে পারে। পরবর্তী সংক্রমণ সাধারণত আগের তুলনায় তীব্র হয়। শুরু থেকে সতর্ক থাকলে শক সিনড্রোমও প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ ও হাসপাতালে রোগ ব্যবস্থাপনার কাজ করে। ওই বিভাগের উপকর্মসূচি ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) আবু নাইম মো. সোহেল বলেন, ডেঙ্গু রোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ঢাকা সিটি করপোরেশন এ কাজে সহযোগিতা দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের সম্পূর্ণ ভালো না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রামে থাকতে হবে। এ ছাড়া যথেষ্ট পরিমাণে পানি, শরবত ও অন্যান্য তরল খাবার খেতে হবে। জ্বর কমানোর জন্য শুধু প্যারাসিটামল জাতীয় ব্যথার ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। তবে অ্যাসপিরিন বা ডাইক্লোফেনাক জাতীয় ব্যথার ওষুধ খাওয়া যাবে না। এতে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২৩
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থী, মহিলা আওয়ামী লীগবিস্তারিত পড়ুন