রাজধানীতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
পুরান ঢাকার লালবাগে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার সৈকত ইসলাম রানা বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে তিনি নিজেরসহ অপর দুই জনের সংশ্লিষ্টতার কথা তুলে ধরেন। তবে ধর্ষণে জড়িত অপর দুই জনকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় রানাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে প্রেমিকের সঙ্গে লালবাগের শহীদ নগরের লোহার ব্রীজ এলাকায় গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন ওই স্কুলছাত্রী। পরে বুধবার ভোরে শহীদ নগরের নির্মাণাধীন একটি বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ধর্ষণে জড়িত অভিযোগে সৈকত ইসলাম রানাকে গ্রেফতার করা হয়।
লালবাগ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, বুধবার রানাকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। পরে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে নেওয়া হলে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে চায়। এর ভিত্তিতে একজন ম্যাজিস্ট্রেট তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। রানাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল। তবে সে জবানবন্দি দেওয়ায় তাকে আর রিমান্ডে দেওয়া হয়নি। সরাসরি কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত সূত্র জানায়, স্বীকারোক্তিতে নিজেরসহ অপর দু’জনের ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন রানা। তিনি অপর দু’জনের নাম উল্লেখ করে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। এদিকে ধর্ষকদের দুইজনকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
লালবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পরিতোষ চন্দ্র বলেন, ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী ও তার প্রেমিকের ভাষ্য, ঘটনার দিন মোবাইল ফোনে মেয়েটির বাবার সঙ্গে কথা হয় ছেলেটির। এ সময় ছেলেটি স্কুছাত্রীকে বিয়ে করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তখন মেয়ের বাবা বলেন, তিনি ও অপর আত্নীয়-স্বজনরা বরিশাল থেকে ঢাকায় এসে বিয়ের ব্যবস্থা করবেন। আপাতত মেয়েটিকে তার (ছেলেটির) বাড়িতে রাখতে বলেন। এ জন্য স্কুলছাত্রীকে নিয়ে নিজের বাসায় যাচ্ছিলেন তার প্রেমিক। পথে শহীদ নগরে ছেলেটি পানি আনার জন্য গেলে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায় ধর্ষকরা।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রথমে স্কুলছাত্রীর প্রেমিককে সন্দেহ করা হয়েছিল। ধর্ষণে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে মনে করা হয়েছিল। তবে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক তদন্তে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। ধর্ষণের শিকার মেয়েটিও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি। ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি রাজধানীর গাবতলীর বাগানবাড়ি এলাকায় নারীদের একটি মেসে থাকেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২৩
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থী, মহিলা আওয়ামী লীগবিস্তারিত পড়ুন