রাজধানীর পৃথক স্থানে নারী-শিশুসহ ৮ জনের অপমৃত্যু
রাজধানীর পৃথক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনা ও আত্মহত্যা করে নারী-শিশুসহ আট জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- তানজিলা খাতুন (১৮), আহজার হোসেন (৪০), শাজাহান (৩০), হুমায়ুন কবীর বসু (২৬), জয় (৮)। তবে নিহত অপর দুই পুরুষ ও এক নারীর নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
রোববার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এসব ঘটনা ঘটে। তথ্যগুলো নিশ্চিত করেন ঢামেক পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মোজাম্মেল হক।
তিনি জানান, ভোর সাড়ে ৬টায় তুরাগ থানার এসআই মাহবুব আলী তানজিলা খাতুন (১৮) নামের এক নারীর মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে নিয়ে আসেন। নিহতের স্বামীর নাম হারুন অর রশিদ। তিনি পূর্ব গাওনিয়ার আব্দুল ফিরোজ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। এসআই মাহবুব জানান, ওই বাসায় ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মিরপুর থানার এসআই আহসান হাবীব মধ্য মনিপুর ৩৭৫ নম্বর বাসা থেকে হুমায়ুন কবীর বাসু (২৬) নামের এক যুবকের মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে যান। জানান, ওই বাসার বাথরুমের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া, সকাল পৌনে ৭টার দিকে ওয়ারী থানার এসআই সুশান্ত অজ্ঞাত (৩০) পুরুষের মৃতদেহ ঢামেকে মর্গে নিয়ে যান। তিনি জানান, ধোলাইখালে ট্রাকের ধাক্কায় ওই ব্যক্তি ঘটনা স্থলেই নিহত হন।
সকাল ৭টার দিকে রামপুরা থানার এসআই কবিরুল ইসলাম মোজাম্মেল হক (৫৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত দেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে নিয়ে যান। তিনি জানান, খবর পেয়ে বনশ্রীব্ল-বিরোড নং ৩ এর ৩৬ নম্বর বাসা থেকে মোজাম্মেলের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের ভাই রাসেল জানায়, সংসারে অভাব অভিযোগের কারণে তিনি গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মাহত্যা করেছেন।
একই সময় বিমানবন্দর থানার এসআই মেহেদী হাসান এক অজ্ঞাত (৪০) নারীর মৃত দেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে নিয়ে যান। তিনি জানান, ট্রাকের ধাক্কায় ভোরে অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই নারীর মৃত্যু হয়। পরে কাওয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
এদিকে, বেলা ৩টায় জিআরপি থানার এসআই সিরাজুল ইসলাম আজহার হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তির মরাদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে নিয়ে যান। তিনি জানান, মগবাজার ওয়ার্লেস গেটের রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় আজহার হোসেন নিহত হন।
অপরদিকে, বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে ঝালমুড়ি কিনতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেলো জহিরুল ইসলাম জয় (৮) নামে তৃতীয় শ্রেণির এক শিশুর।
রোববার বিকেল ৪টার দিকে তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জয়ের বাবা দাউদ নবী খোকন জানান, ঝালমুড়ি কিনে বাসায় ফেরার পথে রেললাইন পাড় হতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় জয়। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জয়কে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে আছে।
একইদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় সহকর্মী ঝণ্টু মিয়া শাজাহান (৩০) নামের এক নির্মাণ শ্রমিককে গুরুত্বর আহত অবস্থায় ঢামেক নিয়ে যান। ঝণ্টু মিয়া জানান, দক্ষিণখান থানা এলাকার গাওয়াইল এলাকার স্বপনের নির্মানাধীন তিনতলা বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে শাজাহান গুরুত্বর আহত হন। পরে ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাজাহানকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২৩
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থী, মহিলা আওয়ামী লীগবিস্তারিত পড়ুন