রাজন হত্যা: সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ, যুক্তিতর্ক আগামী ২৫ অক্টোবর
সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে গতকাল রবিবার আদালতে আনা হবে এটা আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। তাই সকাল থেকেই আদালতপাড়া ছিল লোকে লোকারণ্য।
দুপুরে যখন কামরুলকে আদালতে নেওয়া হয় তখন আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করে শত শত মানুষ। এ সময় তারা কামরুলের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। অনেকে কামরুলকে জুতাও প্রদর্শন করে। এ সময় কামরুল মাথা নিচু করে থাকে। পুলিশ ভিড় ঠেলে কামরুলকে আদালতের এজলাসে নিয়ে যায়।
এদিকে গতকাল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে। তবে আদালতে এর আগে দেওয়া সাক্ষীদের পুনরায় নিজের উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন কামরুল। অবশ্য বিকেলে শুনানি শেষে বিচারক কামরুলের এ আবেদন নাকচ করে দেন। একই সঙ্গে আগামীকাল মঙ্গলবার ৩৪২ ধারায় আসামিদের পরীক্ষা এবং ২৫ অক্টোবর মামলার যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কামরুলসহ ১১ আসামিকে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার সাক্ষ্য দেন। অভিযোগপত্রে ৩৮ জন সাক্ষী থাকলেও দুজন আদালতে না আসায় গতকালই সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করা হয়।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ, যুক্তিতর্ক আগামী ২৫ অক্টোবর
রাজন হত্যাকাণ্ডের পর অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম সৌদি আরব পালিয়ে যান। সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহযোগিতায় কামরুলকে আটক করা হয়। পরে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার কামরুলকে দেশে নিয়ে আসা হয়। এরপর শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় তাঁকে। গতকাল প্রথমবারের মতো মামলার নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজির করা হয় কামরুলকে।
সকাল ৯টায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কামরুলসহ অন্য আসামিদের কড়া নিরাপত্তায় আদালতপাড়ায় নিয়ে আসা হয়। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কোর্ট হাজত থেকে কামরুলকে নিয়ে আদালতের এজলাসের দিকে রওনা হয় পুলিশ। এ সময় আদালত চত্বরে জড়ো হওয়া বিক্ষুব্ধ জনতা ফাঁসি ফাঁসি বলে স্লোগান শুরু করে। অনেকে কামরুলের দিকে তেড়েও যায়। তবে কড়া নিরাপত্তার কারণে কামরুলের কাছাকাছি পৌঁছতে পারেনি জনতার বিক্ষোভ। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতার অনেকে কামরুলকে জুতা প্রদর্শন করে।
রাজনের বাবা শেখ আজিজুর রহমানের নিযুক্ত আইনজীবী এমাদউল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহিন জানান, সাক্ষীদের সাক্ষ্য দেওয়ার সময় আসামি কামরুল দেশের বাইরে ছিলেন। সে কারণে তিনি আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেননি। গতকাল তাঁর পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করে পুনরায় সব সাক্ষীর সাক্ষ্য শোনার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে কামরুলের এ আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত কামরুলের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এমাদউল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহিন জানান, কামরুল উপস্থিত না থাকলেও যেহেতু তাঁর পক্ষে একজন সরকার নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন এবং নতুন করে ৩৫ জন সাক্ষীকে পুনরায় আদালতে আনা কোনোভাবেই সমীচীন হবে না, তাই কামরুলের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মফুর আলী জানান, আগামীকাল আসামিদের পরীক্ষা করা হবে। এ ছাড়া ২৫ অক্টোবর যুক্তিতর্কের জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
দ্বিতীয় দফার বন্যায় সিলেট অঞ্চলে সাত লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দি।বিস্তারিত পড়ুন
সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফেঞ্চুগঞ্জে দুটি বগি লাইনচ্যুতবিস্তারিত পড়ুন
সিলেট বিভাগের বন্যা ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে
গত কয়েকদিনের অবিরত হালকা ও ভারী বর্ষণ, পাহাড়ি এবং ভারতবিস্তারিত পড়ুন