‘রাজাকার’ তিন ভাইয়ের রায় পড়া শুরু
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক হবিগঞ্জের দুই সহোদর ও তাদের এক চাচাত ভাইয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলার রায় পড়া শুরু হয়েছে।
বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২৪০ পৃষ্ঠার এই রায় পড়ছেন।
তিন আসামি হলেন : মহিবুর রহমান ওরফে বড় মিয়া ও তার ছোট ভাই মুজিবুর রহমান ওরফে আঙ্গুর মিয়া এবং তাদের চাচাত ভাই আব্দুর রাজ্জাক । গত ১১ মে মামলাটি যে কোনো দিন রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছিল।
সকালে তিন আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসা হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এনে তাদেরকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় রাখা হয়েছিল।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় চারটি ঘটনায় হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণের মতো অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া, পারভেজ হোসেন ও এম. মাসুদ রানা।
২০১৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি একই মামলার আসামি মহিবুর ও মুজিবুরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নূর হোসেন। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল তা শেষ হয়। এরপর ওই বছরই ২৯ এপ্রিল ধানমণ্ডি কার্যালয় সেফহোমে এক সংবাদ সম্মেলনে তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করে তদন্ত সংস্থা।
২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তদন্তের স্বার্থে মহিবুর রহমান বড় মিয়া ও মুজিবুর রহমান আঙ্গুর মিয়াকে গ্রেপ্তারের আবেদন জানান প্রসিকিউশন। ওই আবেদনের শুনানি শেষে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল-২।
এর পরপরই দুপুর ১২টার দিকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইমামবাড়ী এলাকা থেকে খাগাউড়া ইউপির প্রাক্তন চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান বড় মিয়া ও তাঁর ছোট ভাই বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান আঙ্গুর মিয়াকে গ্রেপ্তার করে হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ। ১২ ফেব্রুয়ারি তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন ট্রাইব্যুনাল। অপর আসামি আবদুর রাজ্জাক পলাতক।
এর পর ৩১ মে এ তিনজনের বিরুদ্ধে চার অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মো. আনোয়ার-উল হকের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
২০০৯ সালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আকল মিয়ার স্ত্রী ভিংরাজবিবি হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কগনিজেন্স-৪-এর বিচারক রাজীব কুমার বিশ্বাসের আদালতে মহিবুর রহমান বড় মিয়া ও মজিবুর রহমান আঙ্গুর মিয়ার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে মামলা (নম্বর ২৭০/০৯) দায়ের করেন।
বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে বানিয়াচং থানা পুলিশকে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পরে মামলাটি আদালত থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন