রাত হলেও সেজে বের হতে হয়, না হলে খদ্দেরের চোখে লাগে না (এক পতিতার গল্প)
বাংলা অভিধানে লালবাতির এলাকা নামে বিশেষ একটা জায়গা আছে। মানুষ টাকার বিনিময়ে জৈবিক চাহিদা মেটাতে যায় সেখানে। আর কেউ পেট বাঁচাতে নামে সেই কাজে।
আমি, আবু রুবাইয়া। এই গল্পটি লিখার জন্য আন্তরিক ভাবে খুবি দুঃখিত।
যাকে খাটি বাংলায় পতিতালয় বলে। তন্নি (মানুষের দেয়া নাম) মেয়েটি কদিন হল অসুখ থেকে উঠেছে। কাজে যেতে পারছে না। কাজের জন্য রাতে বের হতে হয়। বৈরী আবহাওয়া, খদ্দের পাওয়া যায়না। অসুখের জন্য কিছু টাকা ঋণ ও করতে হয়েছে তাকে ঋতুর কাছ থেকে। তন্নি তার বান্ধবী সেও একই কাজ করে।
যেভাবেই হোক ঋণের টাকা আগে শোধ করতে হবে। এ পথে এসেছে আজ প্রায় দুই বছর। পাড়া প্রতিবেশি মামা নিয়ে এসেছে গ্রাম থেকে ঢাকা শহরে। (মা বাবার অসুখ তান্নি কে এ কাজ করতে বাধ্য করেছে) সেদিন বৃষ্টি উপেক্ষা করেও কাজে বের হয় তন্নি। রাত হলেও সেজে বের হতে হয়, না হলে খদ্দেরের চোখে লাগে না। ভালো সাজ দিতে পারলে রেট টাও বেশি পাওয়া যায়।
দালাল পুলিশ নিয়ে যায় কাজের অর্ধেকের বেশি টাকা। পথে পথে ঘুরতে হয়, বিশেষ কিছু জায়গা আছে কাস্টমাররা সেখানে আসে। সন্ধ্যা থেকে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে, তাই আজ মানুষ কম। তবুও যাদের অনেক ক্ষিধা ঠিকই তারা আসবে, তন্নির ও পেট বাঁচাতে হবে, এ ছাড়া তার অন্য কোন উপায় নেই। কয়েকজনের সাথে কথা বলছে, কিন্তু দর দামে মিলছে না।
রাত প্রায় অনেক হয়ে গেছে।গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও বাড়ছে। রাস্তা পার হবে, ঐ দিক টাই কিছু লোক দেখা যাচ্ছে। রাস্তাটা পার হওয়া টা ও অনেক কঠিন। লোক গুলি চলে যাচ্ছে তাই দ্রুত যেতে হবে, দুদিক না দেখেই দৌড় দিল তন্নি, কিন্তু রাস্তাটা আর পার হতে পারলো না।
একটি জীবন ধ্বংস কারি হিংস্র ট্রাক চাপা দিয়ে চলে যায় তন্নি কে। আশপাশের লোকজন জড় হয় সেখানে। লালবাতি এলাকায় খবর পৌছে যায় তন্নি এক্সিডেন্ট করেছে।
সেখানে পুলিশ আসে, পুলিশ দেখে মানুষ জন সরে পড়ে। তখনো দেহে প্রান ছিল তন্নির। পুলিশ হাসপাতালেয় কথা বলে নিয়ে যায় তন্নিকে। রাত গড়িয়ে সকাল হয়, বৃষ্টির ভাব টা আজ কেটে গেছে। ঝকঝকে রোদ। সেই চির চেনা রাস্তা, বড় বড় গাড়ি শতশত মানুষ।
রাতে এখানে কিছু হয়ে ছিলো বুঝারই উপায় নেই। কয়েক জন মানুষ কয়েকটা হাসপাতালে তন্নির খোঁজ করেছিল। কিন্তু তন্নি নামের কোন রোগী সেখানে ভর্তি হয় নি। থানায় ও গিয়েছিল, তারাও কিছু জানে না।
মন্তব্যঃ একটি তন্নি আজ রাতের অন্ধকারে গায়েব হয়ে গেল।
এভাবে হয়তো প্রতিদিন নতুন করে গায়েব হয়ে যাচ্ছে অন্য কোন তন্নির জীবন। কিছু কিছু মানুষ চিরকাল অন্ধকারে থেকে যায়। পরিশেষে বলতে চাই, জীবন বড়ই কঠিন যা একজন মানুষকে সব কিছু করতেই বাধ্য করে। এর জন্য আমরাই দায়ী।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন