রাস্তায়ই সোনামণির সন্তান প্রসব
দৃশ্যটি এ রকম- জাতীয় সড়কের ধারে খোলা আকাশের নীচে সদ্য প্রসব হওয়া সন্তানকে নিয়ে শুয়ে রয়েছেন মা, কাতরাচ্ছেন যন্ত্রণায়। পাশে বসে অসহায় আরও তিনটি ছোট ছোট সন্তান। পথচারী কেউ ফিরেও দেখছে না।
এমনই এক অমানবিক দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে থাকল ভারতের ঝাড়খণ্ডের লাতেহার। এই লাতেহারেই হেসলা গ্রামের সোনামণি জাতীয় সড়কের ধারে খোলা আকাশের নিচেই পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন। বহু কাকুতি মিনতিতেও তাকে ১০০ মিটার দূরের হাসপাতালে পৌঁছাতে এগিয়ে আসেনি কেউ।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, পূর্ণ গর্ভবতী সোনামণি তার তিন সন্তানের আধার কার্ড তৈরি করানোর জন্য হেসলা গ্রাম থেকে বের হন শুক্রবার দুপুরে। তার এক আত্মীয়া বলেন, ‘ওই শারীরিক অবস্থার কারণে ওকে একা একা, তিনটি বাচ্চাকে নিয়ে সদরে যেতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু ও বলল, ওই দিনই ওকে যেতে বলা হয়েছে।’
স্বামী কাজে চলে যাওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা সোনামণি একাই তিনটি বাচ্চা নিয়ে দশ কিলোমিটার হেঁটে লাতেহারে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে সরকারি অফিসে কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যা নেমে যাওয়ায় বাড়ি ফেরার পথে তিনি জাতীয় সড়কের ধারে একটা গাছের নিচে আশ্রয় নেন।
রাত থেকেই তার শরীর বেশি খারাপ করছিল। ভোর বেলা তার প্রচন্ড প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। পথচলতি সবার কাছেই তিনি হাতজোড় করে সাহায্য চান। কেউ এগিয়ে আসেনি। শেষে রাস্তার ধারেই তার বাচ্চা হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত কেউ হাসপাতালে খবরও দেয়। কোন লাভ হয়নি।
অবশ্য শেষপর্যন্ত পুলিশের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, বরাতজোর বেঁচে গিয়েছেন সোনামণি ও তার সন্তান। কারণ, গত কয়েকদিন ধরে সেখানে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু সে দিন ভোরে কোনো বৃষ্টি হয়নি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন