‘রোগের মত ছড়াচ্ছে’ মানবাধিকার লংঘন, বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব

“মানবাধিকারকে অসম্মান করা, অগ্রাহ্য করাটা বিশ্বজুড়ে রোগের মত ছড়িয়ে পড়ছে। আর এই প্রবণতাকে উস্কে দিচ্ছে রাজনীতিকদের সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার চেষ্টা এবং কট্টরপন্থী অসহিষ্ণুতা।”
এই হুঁশিয়ারি এবং উদ্বেগ প্রকাশিত হয়েছে জতিসংঘের মহসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কন্ঠ থেকে।
তবে যে প্রতিষ্ঠানের সভায় মি গুতেরেস ভাসণ দিচ্ছিলেন সেই জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ভূমিকাও এখন প্রশ্নবিদ্ধ। সমালোচনা বাড়ছে জাতিসংঘের এই সংস্থাটি রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট এবং অকার্যকর।
বিশ্বের যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটবে সেদিকেই তাকানোর কথা জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের।
কিন্তু এই পরিষদে ভোটাধিকার আছে এরকম অনেক সদস্য দেশ, যেমন সৌদি আরব, চীন এবং ভেনেজুয়েলার মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন রয়েছে।
সিরিয়ার যুদ্ধ নিয়ে এই পরিষদ বড় ধরনের তদন্ত করলেও, ইয়েমেনের যুদ্ধ নিয়ে একরকম চুপ। অভিযোগ উঠেছে যে ইয়েমেন সরকারকে সহযোগিতা করতে গিয়ে সৌদি আরব যেভাবে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তাতে অনেক ক্ষেত্রেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।
এরকম সমালোচনার মধ্যেই জেনেভায় শুরু হয়েছে এই সংস্থাটির বসন্তকালীন অধিবেশন। জাতিসংঘের মহাসচিব এন্টোনিও গুটেরেস তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেছেন, সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার রাজনীতি মানবাধিকারের জন্যে বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে-
তিনি বলছেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি, সস্তা জনপ্রিয়তা এবং চরমপন্থার রাজনীতির প্রবনতা ক্রমশই বাড়ছে। এর ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে জাতিবিদ্বেষ, বিদেশিদের প্রতি ভয়, ইহুদি বিদ্বেষ এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণাসহ নানা ধরনের অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। সংখ্যালঘু এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন ও নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।”
“একই ধরনের ঘটনা ঘটছে সমকামী, ট্রান্সজেন্ডার এবং হিজড়াদের ক্ষেত্রেও। শরণার্থী ও অভিবাসীদের অধিকারও পড়েছে হামলার মুখে। বাড়ছে মানব পাচারের ঘটনা কারণ যুদ্ধ থেকে পালাচ্ছে বহু মানুষ। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমাজ তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারে না।”
মি. গুটেরেস বলেন, এমন এক সময়ে এই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সারাবিশ্বেই একটি রোগের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদকে এখন এই চিকিৎসায় এগিয়ে আসতে হবে।
বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, এমন গুজবও আছে যে ইসরায়েলের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র এই পরিষদ থেকে বেরিয়েও যেতে পারে।
ইসরায়েলের দাবি, এই পরিষদ থেকে তাদেরকে অহেতুক সমালোচনা করা হয়।
তবে মানবাধিকার গ্রুপগুলো বলছে, এই পরিষদের পক্ষ থেকে দাসত্ব এবং নির্যাতনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও কাজ হয়েছে। আর এই কারণে সংস্থাটির আন্তর্জাতিক সমর্থনেরও প্রয়োজন রয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে স্বৈরাচারী শাসক বললেন ট্রাম্প
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দাবি ছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পবিস্তারিত পড়ুন

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন