লজ্জার আর শেষ নেই পাকিস্তানের
মাত্রই কদিন আগে ক্রিকেট বিশ্বে পাকিস্তানের নামে জয়ধ্বনি উঠছিল। এবার সেই পাকিস্তানের নামেই গালমন্দ। সেটাও আবার করছেন দেশটিরই সাবেক তারকারা। করবেনই তো, টেস্টে এক নম্বরে ওঠার সাফল্য টাটকা থাকতে থাকতেই যে ওয়ানডেতে পাকিস্তান রীতিমতো নাকানিচুবানি খাচ্ছে। গত ম্যাচে যা একটু লড়াই করেছে। তা করলে কী হবে, পাকিস্তান আজ ৫-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হওয়ার লজ্জার সামনে। কার্ডিফে আজ ম্যাচটি হেরে গেলে পাকিস্তানের জন্যও এ হবে বিরল এক লজ্জা।
ওয়ানডেতে বরাবরই পাকিস্তান বেশ সমীহ জাগানিয়া দল ছিল। গত বেশ কিছুদিন ধরে সেই পাকিস্তান যেন রঙিন পোশাকে বড্ড বিবর্ণ। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে তারা যে পড়ে আছে সেই নয় নম্বরে! দলের যা অবস্থা তাতে আজকের ম্যাচ জেতা নিয়েও জোর গলায় কিছু বলতে পারেনি পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত হেরে গেলে এটি হবে পাকিস্তানের ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় ৫-০–র ধবলধোলাইয়ের লজ্জা।
১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে ৫ ম্যাচের সবগুলো হেরে এসেছিল পাকিস্তান। এর দীর্ঘ বিরতির পর ২০০৯-১০ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরেও একই লজ্জায় পড়তে হয় তাদের।
৪-০ ব্যবধানেও পাকিস্তান ধবলধোলাই হয়েছিল মাত্র একবার। সেই অভিজ্ঞতা অবশ্য বেশি পুরোনো নয়। প্রতিপক্ষও চেনা। ২০১১-১২ মৌসুমে আরব আমিরাতে পাকিস্তানকে একটি ম্যাচও জিততে দেয়নি ইংল্যান্ড।
৩-০ ব্যবধানে ছয়বার হোয়াইটওয়াশ হয়েছে পাকিস্তান। এর মধ্যে সর্বশেষ অভিজ্ঞতার ক্ষত শুকোতে তাদের বেশ সময় লাগবে। গত বছর পাকিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট তাঁর বিস্ময়কর যাত্রায় যুক্ত করেছিল নতুন অধ্যায়।
২-০ ব্যবধানের সিরিজের হোয়াইটওয়াশকে অনেকে হিসেবে ধরতে চান না। তবে ধরতে চাইলে, এখানেও ছয়বার ধবলধোলাই হওয়ার রেকর্ড আছে পাকিস্তানের।
পাকিস্তানের জন্য হোয়াইটওয়াশ হওয়াটা খুব আনকোরা অভিজ্ঞতা অবশ্যই নয়। সব মিলিয়ে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ১৫ বার ধবলধোলাই হয়েছে তারা। তবে ৫-০–তে হয়েছে মাত্র দুবার।
৫-০ ব্যবধানে হারাকে ধরে নিতে পারেন ওয়ানডের সর্বোচ্চ লজ্জার মুকুট। কারণ, এর বেশি ব্যবধানে এখন পর্যন্ত কেউ ওয়ানডেতে ধবলধোলাই হয়নি। অবশ্য সাত ম্যাচ সিরিজে সাতটাই হেরে যেতে পারত—এমন সম্ভাবনাও তিনবার দেখা গেছে। তিনবারই দল তিনটি ১-৬ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করে এই লজ্জা এড়াতে পেরেছে। দল তিনটি হলো ভারত (প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৯৮৭-৮৮), ইংল্যান্ড (প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৯৯৫-৯৬) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ (প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৯৯৮-৯৯)।
ফলে আজ সেই লজ্জা এড়ানোর জন্য জানপ্রাণ নিয়েই মাঠে নামতে হচ্ছে পাকিস্তানকে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন