লন্ডনে একদল তরুণ-তরুণী বন্দুক ঠেকিয়েছিল সৌরভের কপালে!
১৯৯৬ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি গায়ে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডে খেলতে যান সৌরভ গাঙ্গুলি। লর্ডসে প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরিও হাঁকান ‘প্রিন্স অব কলকাতা’। স্বাভাবিকভাবে সফরটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে সৌরভের জন্য। কিন্তু শুধুমাত্র লর্ডসে সেঞ্চুরি নয়, লন্ডনের টিউব রেলে ঘটা অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনার জন্য ভারতের সাবেক এই অধিনায়কের মনে গেঁথে থাকবে সফরটি।
আর থাকবেই বা না কেন? ওই সফরে সেখানে একদল তরুণ-তরুণী তার কপালে বন্দুক ঠেকিয়েছিল! সেসময় সৌরভ ভেবেছিলেন ওই ট্রেনেই বুঝি তার জীবনাবসান ঘটতে যাচ্ছে। সেদিন তার সঙ্গী ছিলেন আরেক ভারতীয় ক্রিকেটার নভোজাত সিং সিধু। এমনই ভয়ঙ্কর এক অভিজ্ঞতার কথা ইয়ান বোথামের বই বিফি’স ক্রিকেট টেলসে লিখেছেন সৌরভ নিজেই।
এই ঘটনার স্মৃতিচারণ করে সৌরভ গাঙ্গুলি লিখেছেন, ‘ইংল্যান্ডে গেলে আমি সাধারণত নিজে ড্রাইভ করে কোনও জায়গায় যাই। সেবার প্রথম হেঁটে বেরিয়েছিলাম। আমার সঙ্গি ছিল নভোজাত সিং সিধু। লন্ডনের টিউব রেলে আমরা ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হই। আমরা পিনারের দিকে যাচ্ছিলাম। আমাদের কামরায় কয়েকজন টিনএজার ওঠে। এদের মধ্যে দু’জন ছেলে ও তিনজন মেয়ে। ওরা বিয়ার খাচ্ছিল। আমরা ঠিক ওদের বিপরীত দিকে বসেছিলাম। ওদের একজন বিয়ার খেতে খেতে আমাদের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল। তার দৃষ্টিটা আমাদের ভালো লাগেনি। আমি সিধুকে বলি, এসবে আমাদের না-সারা দেওয়াই ভালে। হঠাৎ দেখি একজন যুবক উঠে দাঁড়িয়ে আমাকে প্রশ্ন করে-কী বললি রে তুই ?’
এ কথা শোনার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তেড়েফুঁড়ে যান সিধু। এ প্রসঙ্গে সৌরভ লিখেছেন, ‘আমি কোন উত্তর দেইনি। কিন্তু ততক্ষণে সিধু ওদের দিকে তেড়ে গিয়েছে। আন্দাজ করতে পেরেছিলাম, এবার আমরা বড় সমস্যায় পড়ব। আমি প্রথমে চশমাটা খুলে ফেলি। এরপর কোনও কিছু না-ভেবে ওদের ধাক্কা দিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। ভাগ্য ভালো তখন স্টেশন এসে যায়। গেট খুলতেই একজনকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিলাম। এরপর বুঝতে পারলাম কেউ একজন আমার কপালে বন্দুক ঠেকিয়েছে। ভাবলাম, এই ট্রেনেই সব শেষ হয়ে গেল।’
কীভাবে রক্ষা পেলেন সে ঘটনাও জানিয়েছেন গাঙ্গুলি, ‘ঠিক সেই সময়ে ওদেরই এক নারী সঙ্গী ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এতক্ষণ ধরে গোটা ঘটনাটা দেখেছেন তিনি। সুশ্রী চেহারার সেই মেয়েটি ছেলেটিকে ধাক্কা মেরে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেয়। ছেলেটিও আর তার সঙ্গে ঝামেলায় জড়ায়নি। ওই নারীর জন্যই আমরা বেঁচে যাই।’
সে যাত্রায় রক্ষা না পেলে হয়তো বাইশ গজে আর দেখা যেত না সৌরভ গাঙ্গুলিকে। এমনকি জেফ্রি বয়কটের গলায় শোনা যেত না, প্রিন্স অফ ক্যালকাটা ধ্বনিও।
সূত্র: ডিএনএ
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন