‘শরীরটা আমার, তাই বেচতে লজ্জা নেই’
ভারতীয় অভিনেত্রী ঋ বলেন, ‘সত্যি বলতে, শরীরটা তোমার, তাই কিছু হারাবার ভয় নেই’। এক সাক্ষাৎকারে এ অভিনেত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বন্ধুরা আমায় বদমেজাজি বলে। কিন্তু যে কথাটা শুনলে আমার সত্যিই হেব্বি রাগ হয়, সেটা হল ‘বোল্ড’। দিনরাত শুনি, ফেসবুকে, মেসেজে, কেউ আলাপ করতে চায় কারণ আমি নাকি বোল্ড, সাহসী।
এটা শুনলে আমি যে তাদের মনে মনে খিস্তি করি না, তা নয়। কারণ আমার রাগ হয় এ ভেবে যে, তারা আমায় কতটা চেনে? আদৌ কি তারা আমার শরীরের ‘পলিটিক্স’টা নিয়ে ভাবে? কেন আমি উদোম হই কিছু বিশেষ ধরণের সিনেমায়, কিছু বিশেষ ধরণের মানুষের জন্য?
নিজের শরীরের চেতনাবোধ অনেক ছোট বয়সেই এসেছিল। তখন বোধহয় আমি চার কি পাঁচ। মায়ের হাত ধরে যাচ্ছি পাড়ার দরজির কাছে নতুন জামার মাপ দিতে।
দোকানটা ছোট আর রাস্তার ওপর। প্রাইভেসি বলে কিছু নেই। সে দিন প্রথম আমার একটা লজ্জাবোধ হলো। দরজি মাপ নিচ্ছে, আর আমি লজ্জা পাচ্ছি। মাকে বললাম, ‘আমি বাড়ি যাব, লজ্জা লাগছে।’ মা খুব ধমকে বলল, ‘এইটুকু মেয়ে আবার লজ্জা!’
আমার এখানে একটা ‘ডাইকটমি’ মনে হলো। আমার শরীর চাইছে লজ্জা।
কিন্তু আমার মা, একজন মেয়ে হয়ে বলছে, লজ্জা কীসের? তাই ভাবলাম, যদি আমি নির্লজ্জ হই, তা হলে কেমন হয়? বাড়ির মদদ ছিল। ‘চ্যাম্পিয়ন’ মা, মাসিরা এবং আমার ‘কুল-ক্যাট’ মামিমা— সবাই চাইত আমি ‘ফ্রি স্পিরিটেড’ হই। হয়তো চাইত আমি অভিনেত্রী হই।
সালটা ১৯৮৩ বা ১৯৮৪। ‘ডিস্কো ডান্সার’ মুক্তি পেয়েছে। মামার বাড়িতে কেটেছে ছোটবেলা। ছোটমামার একটা টেপ-ডেক-এর দোকান ছিল পাড়ার মোড়ে। বিকেল হলেই বাজত ‘ডিস্কো ডান্সার’-এর জিমি জিমি …। পাগলের মতো ছুটে যেতাম পাড়ার মোড়ে, আর নাচতাম।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন