শান্তির রাজনীতি করে জাতীয় পার্টি:রংপুরে এরশাদ
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, জাতীয় পার্টি জ্বালাও পোড়াও ধ্বংসের রাজনীতি করে না।জাতীয় পার্টি জনগনের শান্তির রাজনীতি করে। জাতীয় পার্টিতে সহিংসতার কোনও স্থান নাই।রংপুর মহানগরীরিতে রংপুর বিভাগীয় শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে এক সভায় এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, যারা জ্বালাও পোড়াও হিংসার রাজনীতি করেছে তারাই আজ ধ্বংসের পথে। তারা ক্রমাগত বিভক্ত হয়ে পড়ছে। যারা জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল আগামীতে তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাবে না দেশের মানুষ। তিনি ওই সভা থেকে আগামী ২০ নভেম্বর রংপুর জিলা স্কুল মাঠে রংপুর বিভাগীয় মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন। বিএনপি সরকার আমলের নানা নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, আমাকে বেগম খালেদা জিয়া জেলে রেখে হত্যা করতে চেয়েছিল।
আর সেই আদেশ পালন করেছে বেঈমান শাহাবুদ্দিন আমাকে জেলে নিয়েছে। কিন্তু আমাকে হত্যা করতে পারে নাই। আমি রংপুরের মানুষের দোয়ায় আজও বেঁচে আছি। আমি মরি নাই। আর এখন আমি এ অপেক্ষায় আছি বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে কবে জেলে যাবে, তা দেখে যেতে চাই। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থায় জনগণ মনে করে জাতীয় পার্টির এখন খুব প্রয়োজন। তাই আজ জাতীয় পার্টির প্রতিটি সভাসমাবেশে মানুষের ঢল নামে। আমরা সিলেট পুণ্যভূমি থেকে জাতীয় পার্টির নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছি। সেখানে লাখো মানুষের ঢল নেমেছিল। রংপুর বিভাগে আমরা আগামী ২০ নভেম্বর থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করব।
ওই দিন মহাসমাবেশ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হবে। এ জন্য তিনি দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হতে বলেন। নেতাকর্মীদের মান-অভিমান ভুলে দলের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান। যে সব নেতাকর্মী নানা কারণে অভিমান করে দল ছেড়ে চলে গেছেন এবং নিস্ক্রিয় হয়ে আছেন তাদের তিনি দলে ফিরে আসার আহ্বান জানান। এরশাদ বলেন, এ জন্য কেন্দ্রীয় এবং জেলা থেকে তৃণমূল পর্যায়ে সকলকে উদ্যোগ নিতে হবে। প্রয়োজনের তাদের সাথে আমিও কথা বলব। এখনই সময় পার্টিকে শক্তিশালী করার। কারণ দেশের মানুষ এখন অনেক সচেতন। তারা দেশের সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে মনে করে জাতীয় পার্টির কোনও বিকল্প নাই। সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ বলেন, রংপুর জাতীয় পার্টির ঘাঁটি। এই ঘাঁটিতে ফাটল ধরেছে, তা এখন শক্ত হাতে ঠিক করতে হবে। নেতাকর্মীদের মাঝে কোনও সংশয় ও বিভেদ রাখা যাবে না। আমরা আমাদের রংপুর অঞ্চলের ২২টি আসন আবারও উদ্ধার করতে চাই। যে সব জেলা কমিটি ও আঞ্চলিক কমিটির সম্মেলন হয়নি সে সব কমিটির সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার জন্য তিনি নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। তিনি আরও বলেন, মানুষ জাতীয় পার্টির আমলের মতো সুশাসন দেখতে চায়। দেশের মানুষ ভাল ভাবে বেঁচে থাকতে চায়। নিরাপত্তা চায়।
তাই আজকে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মানুষের সেই প্রত্যাশা পূরণের জন্য কাজ করতে হবে। বৈঠকে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অবঃ) খালেদ আখতার, জাপার জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য মোফাজ্জল হোসেন, সদস্য সচিব সাবেক সংসদ সদস্য হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, মহানগর জাপা আহ্বায়ক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সদস্য সচিব এস এম ইয়াসীরসহ রংপুর বিভাগের পার্টির ৮ জেলা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক। এর পর তিনি রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুরে যান,সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ১নং মমিনপুর ইউনিয়নের (জাপা) চেয়ারম্যান সুলতানা আক্তার কল্পনা এরশাদ কে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন