শাবিতে র্যাগিংয়ের ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের নামে যৌনহয়রানির অভিযোগে পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে প্রফেসর শাহেদুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- শাহপরান হলের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রভোস্ট কৌশিক সাহা ও হল কর্মকর্তা আমির হোসেন চৌধুরী। কমিটিকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামরুজ্জামান চৌধুরী গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাময়িকভাবে বহিষ্কৃত পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন- মো. মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন, মাহমুদুল হাসান ও অসীম বিশ্বাস।
এদিকে রবিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে ওই বখাটেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন, মৌন মিছিল ও সমাবেশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাত শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে “যৌন হয়রানিকারী রাজুকে আজীবন বহিষ্কার চাই” যৌন হয়রানিকারী রাকিবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই” যৌন হয়রানিকারী মাহমুদকে বহিষ্কার চাই” সংবলিত পোস্টার বহন করতে দেখা যায়।
মানববন্ধন শেষে একটি মৌন মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার ছাদে গণিত বিভাগের সদ্য ভর্তিহওয়া এক ছাত্রীকে র্যাগিংয়ের নামে যৌনহয়রানি করার অভিযোগ ওঠে একই বিভাগের প্রথমবর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম রাকিব, মাহমুদুর রহমান, মোশারফ এবং কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাজুর উপর। তাদের বাধা দিতে গেলে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সালমান, মেহেদী ও আতিয়ারের ওপর হামলা করে অভিযুক্তরা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূস: নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এবার দুর্গাপূজারবিস্তারিত পড়ুন
সোমবারের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করেনবিস্তারিত পড়ুন
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৪ কোটি ডলার
এ মাসের প্রথম ১৪ দিনে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখবিস্তারিত পড়ুন