শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

“শারীরিক সম্পর্কের পর এখন সে বিয়ে ভেঙে দিতে চায়…”

জীবন থাকলে সম্পর্ক থাকবেই। আর সম্পর্ক থাকলে থাকবে সমস্যা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানিয়েছেন নিজের সমস্যার কথা।

“আমি একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএস,ই-তে ৩য় বর্ষে পরি। আমি মধ্যবিত্ত ফ্যামিলি থেকে বড় এবং আমার বাসার মানুষ আমাকে খুবই ভালবাসে এজন্য অভাব কী আমি বুঝি নি। হঠাৎ আমার বাবা আর্থিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ায় আমাকে বিয়ের কথা বলে। আমি রাজি না থাকলেও বাবার দিকে চিন্তা করে রাজি হই। ছেলের বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে অনেক দূর এবং ওদের সাথে আমাদের এলাকা গত কিছু অমিল আছে । ছেলে আমাকে দেখতে আসে কিন্তু ছেলে আমার বাড়ি ঘর (আগের পুরোনো) বিল্ডিং দেখে না বলে দেয়।

ছেলেও প্রকৌশলী এজন্য আমাদের পরিবারের খুব মত হয়েছিলো যাতে আমার পড়াশুনা নষ্ট না হয় আর আমি নিজেও চাইতাম একজন প্রকৌশলীকে বিয়ে করতে। প্রায় ১ মাস পর ছেলের বৌদি আমাকে ফোন করে ছেলের সাথে দেখা করতে বলে। প্রথমে ছেলের চেহারা দেখে আমার পছন্দ হয়নি। কিন্তু আমার পরিবারের যেহেতু অনেক পছন্দ সেহেতু আমি দেখা করি। পরে শুনলাম যে ছেলেও পরিবারের চাপে দেখা করতে এসেছে। কিন্তু দেখা করে ভাল লাগে। পরে ছেলে বাসায় জানায় যে বিয়ের দিন ঠিক করতে। আমাদের বাসা থেকে যখন ওদের বাসায় যায়, ওরা যৌতুক চায় বলে আমার পরিবারের সবাই চলে আসে। এদিকে ছেলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে থাকে। এ রকম হবে আমরা কেউ বুঝি নি।

আমাদের মধ্যে কথা হতো। শেষে দুই পরিবার একটা সমাধানে আসে। ৩ মাস আমার সাথে অনেক কথা বলত কিন্তু আশীর্বাদ (আমি হিন্দু) হওয়ার পর থেকে তেমন কল দিত না। এটা বললে অস্বীকার করত। এক পর্যায়ে আমার সাথে খারাপ ব্যাবহার শুরু করে। আর প্রথম থেকেই সে আমার পরিবারের প্রতি উদাসীন। কখনও নিজে থেকে খোঁজ- খবর নিত না। সবসময় আমার পরিবারই ওর খোঁজ নিত। আশীর্বাদ হয়ে গেছে ,এরপর ওর সাথে আমার শারীরিক সম্পর্কও হয়। আমাদের বিয়ের মাত্র এক মাস আছে, এখন আমাকে বলে যে আমাকে নিয়ে নাকি সে কখনও সুখী হতে পারবে না। সব দোষ আমাকে দেয়। আমাকে খারাপ কথা বললেও বলে যে আমি নাকি ফাঁদে ফেলে ওকে দিয়ে বিয়ের কথা বলিয়েছি। আমি ওর কাছে ছোট হয়ে কল দিতাম। আমার সাথে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ছোট লোকের মত করতো। আমি এগুলা নিতে পারি না। আমার আগে কোন সম্পর্কও ছিলোনা। ওর সাথে মিশে আমার যেটা মনে হয়েছে তা হল ও অনেক টাকা পয়সা পছন্দ করে। ২০০ টাকার জন্যও আমাকে অপমান করে কথা বলে।

এখন বলছে সে নাকি শারীরিক সম্পর্কের জন্য বিবেকের কাছে বাঁধা পড়েছে তাই বিয়ে ভাঙতে পারছে না, নাহলে বিয়ে ভেঙে দিত। এ কথা আমার পরিবারকে জানালে তারা সন্মানের ভয় পাচ্ছে । কীভাবে বিয়ে ভাঙবে? বলছে আমাকে মানিয়ে নিতে। আমি কল করলে ও নরমালি কথা বলে না। বলে যে তার সাথে থাকতে গেলে সব মেনে নিয়ে থাকতে হবে। ভাল সম্পর্ক হওয়া নাকি আর সম্ভব না। আমি এখন কী করব ? আবার আমি যদি বিয়ে ভেঙে দেই তো আমার বাবা আমার পড়াশুনা করাতে পারবে না। বিয়ের আগে এমন করলে বিয়ের পর কী করবো? আমার কী করা উচিত?”

পরামর্শ:

আপু, এই কথা আপনিও ভালোই বুঝতে পারছেন যে এই বিয়ে ভেঙে দেয়াটাই আপনার জন্য সবচাইতে মঙ্গলকর হবে। বিয়ে কোন একদিনের বিষয় নয়, বিয়ে আজীবনের। ১ দিন ২ দিন হলে আপনি মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলেও করতে পারতেন। কিন্তু মানুষ কি আজীবন মানিয়ে নিতে পারে? পারে না!

আশীর্বাদ হয়েছে, বিয়ে তো হয়নি! এই অবস্থায় শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে খুবই ভুল কাজ করেছেন। এক, ছেলেটি ভাবছে যে আপনাকে তো পাওয়া হয়েই গিয়েছে। এখন অন্য কাউকে বিয়ে করলে সে আরেকটি নতুন মেয়ের সংস্পর্শ পাবে। কিংবা সে বুঝতে পেরেছে যে আপনার পরিবার থেকে সে তেমন কোন আর্থিক সুবিধা পাবে না, ফলে পিছিয়ে যেতে চাইছে। ঘটনা যাই হোক আপু, কোনটাই আপনার জন্য ভালো হবে না। প্রথম কারণ সত্যি হয়ে থাকলে বিয়ের পর স্বামীর একাধিক পরকীয়া দেখতে হবে আপনাকে। পরেরটা সত্য হয়ে থাকলে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হওয়াও বিচিত্র কিছু নয়।

কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী হওয়া যায় না। আপনি এই সম্পর্ক ত্যাগ করুন। সে ভেঙে দেয়ার চাইতে আপনি নিজেই ভেঙে দিন, এতে আপনার সম্মানই রক্ষা পাবে। হ্যাঁ, পরিবার থেকে খুব ঝামেলা হবে। কিন্তু সেটা সাময়িক। কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর গলগ্রহ হয়ে বেঁচে থাকার চাইতে সেই ঝামেলার মুখোমুখি হওয়া অনেক শ্রেয় আপু। একটাই জীবন, সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই আপনার জন্য খুব ভালো একজন মানুষকে রেখেছেন। তাই তাড়াহুড়া করে এমন কাউকে বিয়ে করবেন না, সে আপনার মনের মত নয়। বাবা লেখাপড়া করাতে পারবে না তো কী হয়েছে? আপনি লেখাপড়া করছেন, একটু কষ্ট করে পার্ট টাইম কাজ করুন। খাওয়া পড়ার চিন্তা যেহেতু নেই, উপার্জনের টাকা পুরোটা জমিয়ে লেখাপড়া করবেন। আজকাল স্টুডেন্টদের জন্য কাজ করার সুযোগের কোন অভাব নেই। তাছাড়া এখানে বিয়ে ভেঙে দিলে অন্য কোথাও বিয়ে হবে। আপনি ধরেই কেন নিচ্ছেন যে আপনার আর বিয়ে হবে না বা এই ছেলে হাতছাড়া হয়ে গেলে অন্য কাউকে পাবেন না? কি গ্যারান্টি আছে আপু যে এই ছেলেটি বিয়ের পর আসলেই আপনাকে লেখাপড়া করাবে?

কোন গ্যারান্টি নেই! বাবা মাকে কথা শোনাতে না পারলে পরিবারের অন্য কারো দারস্থ হন। আমার মনে হয় না এত অপমান মেনে নিয়ে বিয়েটা করলে সেটা আপনার জীবনে কোন সুফল বয়ে আনবে।সুত্র:প্রিয়ডটকম

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন  

চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন

চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস

 শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন

ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন

  • স্বাধীনতার জন্য সিরাজুল আলম খান জীবন যৌবন উৎসর্গ করেছিল
  • ৫৩ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ১০৬ জনকে সম্মাননা দিল ‘আমরা একাত্তর’
  • হাতিয়ায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
  • ৫৭ বছর বয়সে এসএসসি পাস করলেন পুলিশ সদস্য
  • শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
  • চলে গেলেন হায়দার আকবর খান রনো
  • গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার
  • ‘ও আল্লাহ আমার ইকবালরে কই নিয়ে গেলা’
  • ভিক্ষুকে সয়লাভ নোয়াখালীর শহর
  • কঠিন রোগে ভুগছেন হিনা খান, চাইলেন ভক্তদের সাহায্য
  • কান্না জড়িত কন্ঠে কুড়িগ্রামে পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল
  • অজানা গল্পঃ গহীন অরণ্যে এক সংগ্রামী নারী