শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কবিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। লিখিত অভিযোগ পেয়ে এবার তদন্ত শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
এর আগেও একই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। তবে ওই কর্মকর্তা সবকিছু অস্বীকার করে বলেছেন, এ সবই তার বিরুদ্ধে সাজানো। তার দাবি, অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এমন বেশ কিছু শিক্ষক তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন। যৌন হয়রানির অভিযোগ এই কারণেই করছেন তারা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন জানান, অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে জমা পড়া অভিযোগের পর এই তদন্তের উদ্যোগ নেয়া হয়। অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
তবে অভিযোগটি বেনামি হওয়ায় অভিযোগকারীকে চিহ্নিত বা তার কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি বলে জানান জালাল উদ্দিন।
তবে ঢাকাটাইমসের সঙ্গে সেই অভিযোগকারী শিক্ষিকার কথা হয়েছে। তিনি জানান, বেশ কিছুদিন আগে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। শিক্ষা কর্মকর্তা কবিরুল ইসলাম তাদের বিদ্যালয় পরিদর্শনে এলে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। এ সময় তিনি তার পারিবারিক খোঁজখবরও নেন। একপর্যায়ে ওই শিক্ষিকার বিবাহবিচ্ছেদের তথ্যটিও জানতে পারেন কবিরুল।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা বলেন, ‘এরপর থেকে শিক্ষা কর্মকর্তা আমাকে মোবাইলে প্রায়ই নানা কুপ্রস্তাব দেন। কিন্তু আমি তার কোনো কথাতেই রাজি হইনি। এখন তিনি হুমকি দিচ্ছেন, তার প্রস্তাবে আমি যদি রাজি না হই, তাহলে চাকরির ক্ষেত্রে তিনি আমাকে নানাভাবে হয়রানি করবেন।’
ওই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এর আগেও নানা অভিযোগ উঠেছিল। ২০০১ সাল থেকে ছয় বছরের বেশি সময় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় দায়িত্ব পালনকালে অনেক শিক্ষিকা তার বিরুদ্ধে একই রকম অভিযোগ করেন। সদর উপজেলায় বদলি ও বিয়ের কথা বলে ইটনার এক শিক্ষিকার সঙ্গে তিনি সম্পর্ক গড়েন। কিন্তু পরে তিনি অস্বীকার করেন। পরে লজ্জায় চাকরি ছেড়ে দেন ওই শিক্ষিকা।
একপর্যায়ে কিশোরগঞ্জ থেকে অন্য জেলায় বদলি করা হয় কবিরুলকে। কিন্তু ২০১৩ সালে তিনি ফিরে আসেন কিশোরগঞ্জে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষিকা ঢাকাটামসকে বলেন, ‘অন্য পেশার চেয়ে শিক্ষকতা নারীর জন্য নিরাপদ ভেবেই এই চাকরিতে যোগ দিয়েছিলাম। আমি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জননী হওয়ার পরও শিক্ষা কর্মকর্তার কুনজর থেকে রক্ষা পাচ্ছি না। কৌশলে তাকে এড়িয়ে চলতে হচ্ছে। এটি একজন শিক্ষক হিসেবে আমার জন্য চরম অস্বস্তিকর একটি বিষয়।’
তবে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে কবিরুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষকদের একটি মহল আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে। আমার বিরুদ্ধে কল্পকাহিনী সাজিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বেনামি অভিযোগ দিচ্ছে।’
কেন তার বিরুদ্ধে অকারণে অভিযোগ করবে- জানতে চাইলে এই শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কাছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও অনেক অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয়ে তদন্ত ও তাদের স্বার্থে আঘাত পড়ায় আমার বিরুদ্ধে সাজানো অভিযোগ করেছে তারা।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন