শিশুদের কান্নার প্রতিযোগিতা
শতাধিক জাপানি শিশু গতকাল রোববার এক ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে চেঁচিয়ে কেঁদেছে। এটা কান্নার প্রতিযোগিতা বা ‘সুমো’। স্থানীয় লোকজনের বিশ্বাস, এই সুমো শিশুদের সুস্থতা এনে দিতে পারে।
রাজধানী টোকিওর পশ্চিমে সাগামিহারা এলাকার কামেগাইকে হাচিমাংগু মন্দিরের সামনে ওই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। দুজন পূর্ণবয়স্ক সুমো কুস্তিগির মুখোমুখি দুটি শিশুকে তুলে ধরেন। তাদের পরনেও সুমো খেলার খুদে সাজপোশাক। এ সময় তারা চিৎকার করে কাঁদে। কুস্তিগিরেরা এ সময় শিশুগুলোকে ঝুলিয়ে-ঝাঁকিয়ে কাঁদানোর ব্যবস্থা করেন। মাত্র হাঁটতে শিখেছে—এমন শিশুরাই এই খেলায় অংশ নিতে পারে।
জেনতারো নামের একটি শিশুর মা তোমোয়ো ওয়াতানাবে বললেন, ‘আমার ছেলে একদম শুরু থেকেই কাঁদছে। কিছুটা খারাপ লাগলেও আমি তাকিয়ে দেখেছি আর প্রার্থনা করেছি, যেন ছেলেটা এই অনুষ্ঠানের পর থেকে সুস্থ ও শক্তিশালীভাবে বেড়ে ওঠে।’
জাপানের বিভিন্ন মন্দিরে এই ‘কান্নার সুমো’ হয়ে থাকে। মা-বাবা ও দর্শনার্থীরা এই প্রতিযোগিতা দেখে বিমল আনন্দ পান। পুরোহিত হিরোয়ুকি নেগিশি বলেন, শিশুদের এই কান্না শুনে অশুভ শক্তি পালিয়ে যায় বলেই বিশ্বাস চালু আছে। এতে শিশুরা বিভিন্ন সংকট থেকে রেহাই পায়।
এই প্রতিযোগিতা ৪০০ বছরের বেশি পুরোনো। অঞ্চলভেদে নিয়মের হেরফের আছে। কয়েকটি জায়গায় মা-বাবারা চান, তাঁদের সন্তানই যেন প্রথম কাঁদে। আবার কোনো কোনো এলাকার অভিভাবকেরা মনে করেন, প্রথমে কাঁদলে শিশুর অপ্রাপ্তির আশঙ্কাই বেশি থাকে।
সাগামিহারায় এই কান্নার সুমো ২০১১ সাল থেকে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শিশুদের মা-বাবা ও দাদা-দাদিরা উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতা দেখেন। প্রথমে তাঁরা শিশুদের একটা বেদিতে নিয়ে যান। সেখানে পুরোহিত ওই শিশুদের ‘শুদ্ধ’ করে দেন। তারপর এক জোড়া শিশুকে সুমোর মঞ্চে নেওয়া হয়। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হওয়ার আগেই বেশির ভাগ শিশু চিৎকার জুড়ে দেয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন