শিশুর চোখ-কিডনি কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা ধর্ষণ করার পর
৯ বছরের শিশু ইয়াছমিনের লাশ পাওয়া গেছে নিখোঁজের তিন দিন পর নীলফামারীর তিস্তার চর ভারত সীমান্তের একটি ভুট্টা খেতে। শিশুটির লাশটি ছিল ক্ষতবিক্ষত। ধর্ষণের পর শিশুটির দুটি চোখ ও কিডনি কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
লোমহর্ষক এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশের পুলিশ এবং বিজিবি ও বিএসএফের যৌথ পতাকা বৈঠকের পর শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভারতের কুচলিবাড়ি থানা পুলিশ নিয়ে যায়। ময়নাতদন্ত শেষে আগামীকাল শুক্রবার শিশুটির লাশ বাংলাদেশে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।
শিশুটি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গুচ্ছগ্রামের দিনমজুর ইয়াছিন আলী ও নাজিরন বেগমের মেয়ে। সে দক্ষিণ ঝাড়সিংশ্বের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। ইয়াছমিনের হত্যাকা-ের ঘটনায় এলাকায় মাতম চলছে।
বৃহস্পতিবার এলাকাবাসী জানায়, ঘটনার দিন বিকেলে ইয়াছমিন অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলছিল। সেখানে অপরিচিত দুই যুবক বসেছিল। তারাই ইয়াছমিনকে নিয়ে যায়। এরপর আর তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
ইয়াছমিনের বাবা দিনমজুর ইয়াছিন আলী বলেন, আমার মেয়েকে অপরিচিত দুই যুবক অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় তিনি ফসলের মাঠে কাজে ছিলেন। সন্ধ্যায় পর ইয়াছমিনের খালা হোসনে আরা তাকে মোবাইলে বলে জানায় ইয়াছমিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর থেকে তার মেয়ে নিখোঁজ ছিল। শিশুটির সন্ধানে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়। এ ঘটনায় ৩ মে বিকেলে তিনি ডিমলা থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ তিন ঘণ্টা বসিয়ে রাখার পরও তার জিডি গ্রহণ করেনি। তিনি বলেন, বুধবার সকালে এলাকায় বৃষ্টি ও ঝড় হয়। এতে তিস্তা নদীর চরের ভুট্টা খেতের গাছগুলো মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। দুপুরে তার মেয়ের লাশ দেখতে পাওয়া যায় তিস্তা নদীর ওপারে ভারতের শিংপাড়া অংশের একটি ভুট্টার খেতে। ভারতের কৃষকদের চিৎকারে উভয় দেশের কৃষকরা সেখানে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে তিনি তার মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন।
পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, খবর পেয়ে বিষয়টি তিস্তা নদীর সীমান্তের কলোনি থানার হাট বিজিবি ক্যাম্প ও ডিমলা থানা পুলিশকে অবগত করা হয়। বিজিবির পক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে ভারতের শিংপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পে পতাকা বৈঠকের জন্য পত্র পাঠায় বিজিবি।
থানার হাট ৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার আবুল কালাম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ান কমান্ডার লে. কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তিনি জানান, বুধবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উভয় দেশের পুলিশ ও বিজিবি এবং বিএসএফের যৌথ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে শিশুটির লাশের সুরতহালে গণধর্ষণের আলামতসহ দেখা যায় দুটি চোখ এবং পিঠ ও পেটের কোনার অংশ কেটে কিডনি বের করে নেওয়া হয়েছে।
এরপর ভারতের কুচলিবাড়ি থানা পুলিশ ওই শিশুটির লাশ তাদের জিম্মায় নিয়ে গেছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারতের কুচবিহার জেলার মর্গে বৃহস্পতিবার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার পুনরায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশ ফেরত দেবে বাংলাদেশে।
ডিমলা থানার ওসি (তদন্ত) হারিছুল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনায় বুধবার পুলিশের পক্ষে ডিমলা থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। পাশাপাশি শিশুটির বাবাকে ডিমলা থানায় মামলা দায়েরের জন্য বলা হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন