শিশুর ছবি অনৈতিক ব্যবহারের প্রতিবাদে যা করলেন মা
অনেকেই হয়ত অনলাইনে একটি চিত্র দেখেছেন, যেখানে শিশুর হাতে ধরা আছে একটি কুমড়া। আর এ ছবিটি যার, সে শিশুটি অত্যন্ত অসুস্থ।
তার মা জানিয়েছেন অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন স্থানে ব্যবহৃত হচ্ছে তার ছেলের ছবি। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।গ্রেসন স্মিথ নামে সে শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ছবিটি ব্যবহার করা অত্যন্ত নিষ্ঠুরতা। কারণ তার ছবিতে উঠে এসেছে তার অসুস্থতা।
তার মা জেনি স্মিথ বলেন, ‘আমি এটি বিশ্বাস করতে পারিনি যে, তারা একটা শিশুর ছবি এভাবে ব্যবহার করতে পারে। বিশেষ করে এমন একজন শিশু যে কিনা প্রতিবন্ধী। ‘
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামায় বসবাসকারী চার সন্তানের জননী এ নারী বলেন, তিনি অনলাইনে যেখানেই তার ছেলের ছবি ব্যবহার করতে দেখেছেন, সেখানেই তা মুছে ফেলার অনুরোধ করেছেন। তার এ অনুরোধ অনেকেই মেনেছেন, অনেকে আবার মানেননি।
সবখান থেকে একটি একটি করে ছবি ডিলিট করার অনুরোধ করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। কিন্তু তিনি এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
গ্রেসন জন্মগ্রহণ করে ২২টি শারীরিক সমস্যা নিয়ে।
এ ছাড়া তার যেসব সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো নিম্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মৃগীরোগ, সেরিব্রাল পালসি, তালুর সমস্যা ইত্যাদি। এত সমস্যা নিয়ে আর কোনো শিশু ছিল না।
জন্মের পর চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, সে আর মাত্র দুই-এক সপ্তাহ বাঁচবে। আর দারুণ প্রাণশক্তির কারণে সাড়ে তিন বছর পরও সে বেঁচে থাকতে সক্ষম হয়। তার দেহে ২৪টি সার্জারি করা হয়।
তার মা বলেন, ‘সে এত অস্বাভাবিক ও এত স্মার্ট যে, মনে হবে যে শিশু বয়সেই সে যেন একজন বড় মানুষ। ‘
তার মা জানান, তার ছবি এভাবে ব্যবহার করা অনুচিত। এ’ছাড়া বিষয়টি নিয়ে তিনি দুটি বার্তা দিতে চান সবার কাছে। এগুলো হলো :১. সবারই এ বিষয়টি জেনে রাখা উচিত যে, এমনটা তাদের ক্ষেত্রেও হতে পারে,২. অসুস্থ বা বিশেষ মনোযোগ দরকার যে শিশুদের তাদের নিয়ে হাসাহাসি বা ব্যঙ্গ করা উচিত নয়, এ বিষয়ে সবারই শিক্ষালাভ প্রয়োজন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন