শিশু বিয়ে বন্ধে ভুয়া জন্ম নিবন্ধনের সনদ বাতিলের দাবি
শিশু বিয়ে বন্ধের অন্যতম প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে ভুয়া জন্ম নিবন্ধনকরণ। কারণ আইনের মাধ্যমে বিয়ের বয়স নির্ধারণ করা হলেও ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করে কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে দেয়া হচ্ছে। এজন্য প্রশাসনের সহযোগিতার পাশাপাশি পারিবারিক সচেতনতাই বেশি জরুরি।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীর বাউনিয়া বাঁধ ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত ‘মেয়ে আমার অহংকার, ১৮’র আগে বিয়ে নয়, এই আমার অঙ্গিকার’ শীর্ষক শিশু সুরক্ষা মেলা ২০১৬ এর আলোচনা সভায় বক্তরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেইঞ্জ কর্মসূচির উদ্যোগে এবং ইউনিসেফ-এর সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জোনাল-২ এর নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপ সচিব এনায়েত উল্লাহ খান ইউসূফ জাই।
ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেইঞ্জ এর কর্মসূচি সমন্বয়ক সদরুল হাসান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রউফ নান্নু, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা রাশিদা বেগম, পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শাহ আলম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (জোন-২) এর সহকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা আলী প্রমুখ।
এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেইঞ্জ এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার শেখ মজিবুল হক। প্রধান অতিথি এনায়েত উল্লাহ খান ইউসূফ জাই বলেন, শিশু বিয়ের অন্যতম কারণ হচ্ছে দারিদ্র্য, অশিক্ষা ও নিরাপত্তা এবং সচেতনতার অভাব। এজন্য সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে সমন্বিত কর্মসূচির মাধ্যমে একযোগে কাজ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সদরুল হাসান মজুমদার ভুয়া জন্ম নিবন্ধন বন্ধে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, যারা এ সনদ দেন তারা যেন আরো সচেষ্ট হন। কারণ, ভুয়া সনদের কারণে অনেক কাজী ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও শিশু বিয়ে প্রতিরোধ করতে পারেন না।
অনুষ্ঠানে এবারের সাফ গেমসে ভারোত্তোলনে স্বর্ণপদক পাওয়া বাংলাদেশের কিশোরী কন্যা মাবিয়া আক্তার সীমান্ত শিশু বিয়ে বন্ধে পরিবারের মা-বাবার সচেতনতার ওপর গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
মেলায় বিভিন্ন স্টলে শিশু অধিকার ও নারী উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড এবং শিশুর বিয়ের সমস্যাসমূহ বই, পোস্টার ও লিফলেট আকারে দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরা হয়। ব্র্যাকের কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা শিশু অধিকার ও শিশুর বিয়ের নেতিবাচক বিষয়গুলো তুলে ধরে বিশেষ নাটক, গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০ টায় শান্তির প্রতীক কবুতর উড়িয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জোনাল-২ এর নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপ সচিব এনায়েত উল্লাহ খান ইউসূফ জাই। মেলা চলে সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, শিশু বিয়ের সঙ্গে মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু, পুষ্টি, স্বাস্থ্য, নারী নির্যাতন, জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সমস্যা জড়িত। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে শিশুবিয়ে মুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণের অঙ্গীকার করেছে। সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ব্র্যাক ২০১০ সাল থেকে ইউনিসেফের আর্থিক সহায়তায় জনসম্পৃক্ততায় সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২৩
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থী, মহিলা আওয়ামী লীগবিস্তারিত পড়ুন