শুধু পুরুষদের জন্য, ভ্যালেন্টাইনস দিবসে কী করবেন? রইলো ৮টি টিপস্
আজ আর ঝগড়া নয়। কোনও তর্ক নয়। সব মেনে নিন। সব মানিয়ে নিন। গলায় সুর না থাকলেও গেয়ে উঠুন প্যারোডি— ‘এ শুধু প্রেমের দিন, এ লগন প্রেম করিবার…’
কে বলেছে ভ্যালেনটাইন্স ডে শুধু নতুনদের, মানে নতুন প্রজন্মের? এ দিবস সবার। সব বয়সের। তাই আপনার পুরনো ভালবাসাকেও নতুন প্রাণ দিন এমন দিনে। অনেক দিনের দাম্পত্য যদি একঘেয়ে হয়ে যায়, প্রেমে যদি মরচে পড়ে যায়, তবে এমন লগন চলে যেতে দেবেন না।
বরেরা জেনে নিন স্ত্রীকে খুশি রাখতে সারাটা দিন কী কী করবেন।
১। রবিবার হলেও, কোনও কাজ না থাকলেও, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠুন। অন্তত স্ত্রী ওঠার আগে। স্ত্রীর জন্য চা বানিয়ে বলুন— গুড মর্নিং ডার্লিং। (অনেকদিনের অনভ্যাস থাকলে টয়লেটে ঢুকে আগেই বার কয়েক রিহার্সাল দিয়ে নিন।)
২। রোজকার মতো ব্যাজার মুখে বাজার যাবেন না। হাসি মুখে ব্যাগ নিয়ে যান। ঝিঙে আপনার পছন্দের না হলেও বউয়ের যদি পছন্দ হয় তবে অবশ্যই কিনে আনুন। মনে করে একটা মিষ্টি পান কিনে চুপিসারে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন।
৩। এদিন কোনও টেকনোলজি নয়। প্রকাশ্যেই বলুন এই ফোন-টোন ভাল লাগে না। বরং টিভি চালিয়ে বউয়ের পছন্দের সিরিয়ালের রিপিট টেলিকাস্ট দেখুন। সিরিয়ালের গল্প নিয়ে কৌতূহল না থাকলেও প্রশ্ন করে এটা সেটা জানতে চান।
৪। স্ত্রীর নজরে আসবে এমন জায়গায়, যেমন কম্পউটার টেবিলে মাউসের তলায়, ফ্রিজের দরজায় কিংবা টয়লেটের আয়নায় চিরকুট লাগিয়ে রাখুন। তাতে কী লিখবেন? গীতবিতান থেকে চোখ বুজে টুকে দিন। প্রেম, পূজা, প্রকৃতি যে কোনও পর্যায় চলবে।
৫। বেশি দামি কিছু গিফট কিনতে হবে না। এমন কিছু কিনুন, যেটা বালিশের তলায় রাখা যায়। মাসের মাঝখানে দামি গিফট কিনলেও আবার ‘আদিখ্যেতা’ বলে গিন্নি তিরিক্ষি হয়ে যেতে পারেন। বরং দুপুরে খাওয়ার পরে ফ্রিজ থেকে হিম-শীতল পান এনে হাতে দিন।
৬। বিকেলে একটু ঘুরতে যেতে পারলে ভাল। না ইচ্ছে করলে বলুন— ‘‘আজ দু’জনে মিলে একলা হতে ইচ্ছা করছে।’’ দেখবেন কাজ হবে। শুয়ে বসে কাটিয়ে দিন। রাতের খাবারটা হোম-ডেলিভারি মাস্ট। বলবেন, ‘‘অর্ডার দিয়ে দিয়েছি। আজ আর তোমায় রান্নাঘরে ঢুকতে হবে না। রোজই তো কর।’’
৭। আপনার স্ত্রী কি পশু পাখি ভালবাসেন। বাড়িতে কুকুর, বিড়াল আছে? আপনার পছন্দ না হলেও তাদের একটু আদর করুন। একটু ঝুঁকি নিয়ে ছোট্ট করে হামিও খেতে পারেন। কাজ হবে। সন্ধের দিকে আপনাকে আর খাটতে হবে না। দেখবেন গরম কফি-চা এবং টা হাসি মুখেই পাবেন গিন্নির থেকে।
৮। রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ। পরিবেশনটা কিন্তু আপনিই করবেন। আর তা-র-প-র। একদম যা ভাবছেন তা নয়। গল্প করুন। টেনে আনুন পুরনো কথা। খারাপ অভিজ্ঞতাগুলো যেন বেরিয়ে না আসে। আগে থাকতেই সেই আলোচনার বিষয়ে ভেবে রাখুন। তখন যেন হাতড়াতে না হয়। এক্ষেত্রে মোক্ষাম ডায়লগ— ‘‘হঠাৎ কী করে মিলন হল দোঁহে, কী ছিল বিধাতার মনে!’’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন