বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণের নেপথ্যে

১৯৭১ সালে ৭ই মার্চ ঢাকার সোহরাওর্দি উদ্যানে শেখ মুজিবের ভাষণকে দেখা হয় প্রথম স্বাধীনতার ডাক হিসাবে।

কীভাবে ঐতিহাসিক সেই ভাষণের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি? কাদের সাথে পরামর্শ করেছিলেন?

৪৬ বছর পর বিবিসি বাংলার মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে এক সাক্ষাৎকারে ৭ই মার্চের ভাষণের নেপথ্যের কিছু কথা বলেছেন তৎকালীন আওয়ামী লীগের তরুণ নেতা, শেখ মুজিবের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী তোফায়েল আহমেদ।

ভাষণের আগে তা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়েছিল? এই প্রশ্নে তোফায়েল আহমেদ বলেন, “বঙ্গবন্ধু সিদ্ধান্ত নিজেই নিতেন, তবে প্রিয় কজন সহকর্মী – নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, কামরুজ্জামান এবং মনসুর আলীর সাথে পরামর্শ করতেন।”

“আপনি খেয়াল করে দেখবেন তাঁর ভাষণটি ছিল একান্তই তার বিশ্বাসের ভাষণ। ৬ তারিখ রাতে তিনি অনেক চিন্তা করেছেন, তার স্ত্রী তাকে বলেছিলেন তুমি যা বিশ্বাস করো, তাই বলো।”

৭ই মার্চ খোলাখুলি স্বাধীনতার ঘোষনা দেওয়ার তরুণ নেতাদের কাছ শেখ মুজিবের ওপর কোনো চাপ কি ছিল?

তোফায়েল বলেন “না ছিলনা, আমরা যারা তরুণ ছিলাম, নেতার ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা ছিল। নির্বাচনে জিতে তেসরা জানুয়ারি যখন শপথ নিয়েছিলেন সেদিনই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ছয় দফা দাবির প্রশ্নে তিনি কোনো আপোষ করবেন না। সেদিনই তিনি বলেছিলেন তিনি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাননা, বাংলার মানুষের অধিকার চাই।”

তবে তোফায়েল আহমেদ তার স্মৃতিচারণে বলেন, একজন তরুণ নেতা সেদিনই দুপুরের দিকে শেখ মুজিবকে বলেছিলেন স্বাধীনতার ঘোষণা ছাড়া জনগণ মানবে না। “কিছুটা অসন্তুষ্ট হয়ে বঙ্গবন্ধু তখন বলেছিলেন আমি নেতা, আমি মানুষের নেতৃত্ব দেব, তারা দেবেনা, তোমরা তোমাদের কাজে যাও।”

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণে শেখ মুজিব সেদিন দুটো উদ্দেশ্য অর্জন করতে চেয়েছিলেন – একদিকে মানুষের কাছে স্বাধীনতার বার্তা পৌছে দেয়া, একইসাথে বিচ্ছিন্নতাবাদীর তকমা পরিহার করা।

“তিনি সেদিন বলেছিলেন ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো ..এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম .. এটা ছিল স্বাধীনতারই ঘোষণা ..অন্যদিকে সেনা শাসন প্রত্যাহার এবং নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ চারটি শর্ত দিয়ে তিনি কার্যত পাকিস্তানের কোর্টে বল পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।”

“ঐ চারটি শর্ত না দিয়ে তিনি যদি সেদিন বলতেন আজ থেকে দেশ স্বাধীন তাহলে লাখ লাখ লোক সেদিন মারা যেত, পাকিস্তানের বোমারু বিমান প্রস্তুত ছিল। আমাদের বলা হতো বিচ্ছিন্নতাবাদী।”

তোফায়েল আহমেদ বলেন, “৭ই মার্চের ভাষণের পরদিন পাকিস্তানের সেনা গোয়েন্দা আইএসআই রিপোর্ট করেছিল চতুর শেখ মুজিব, চতুরতার সাথে বক্তৃতা করে গেলেন, একদিকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে গেলেন, অন্যদিকে বিচিছন্নতাবাদী হওয়ার দায়িত্ব নিলেন না.. নীরব দর্শকের ভূমিকা ছাড়া আমাদের কিছুই করার ছিলনা।”

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

সায়েন্সল্যাব এলাকা থেকে সিটি কলেজ সরিয়ে নেওয়ার দাবি ঢাকা কলেজের

ঢাকার সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন

ড. ইউনূস: আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে, এটি ত্রুটিপূর্ণ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “মানুষ জন্মগতভাবে উদ্যোক্তা।বিস্তারিত পড়ুন

আইসিটি অধ্যাদেশ অনুমোদন, ধারণ করা যাবে বিচার প্রক্রিয়ার অডিও-ভিডিও

‘‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪’’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনবিস্তারিত পড়ুন

  • জাবি ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ হলো ব্যাটারিচালিত রিকশা ও মোটরসাইকেল
  • অবসরের চার বছর পর আইজিপি হলেন বাহারুল আলম
  • ধর্ম উপদেষ্টা: ইসলামি বইমেলা হেরার জ্যোতির পথ দেখায়
  • ব্যাংকিং ব্যবস্থার অপব্যবহারে সংকটাপন্ন ব্যাংকগুলোর ক্ষতি ১,৬৬৪ কোটি টাকা
  • আজিমপুরে বাসায় ডাকাতি, মালামালের সঙ্গে দুধের শিশুকেও নিয়ে গেছে ডাকাতরা
  • সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের সংঘর্ষ
  • ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগে বিক্ষোভে উত্তাল প্যারিস
  • আসিফ নজরুল: কোনো অজুহাতেই জঙ্গিবাদ অ্যালাউ করতে পারি না
  • তারেক রহমান: পরপর দুই মেয়াদের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী নয়
  • ফেসবুক লাইভে আন্দোলনে আহত জহুর আলী: মামলা নিয়ে ব্যবসা শুরু হয়েছে
  • আরও কমলো স্বর্ণের দাম
  • এএফপিকে ড. ইউনূস: সংস্কারের গতিই ঠিক করবে নির্বাচন কত দ্রুত হবে