‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দেশকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বাংলাদেশকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সকল ধ্বংস-হত্যা-ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
মতিয়া চৌধুরী আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াতের এবং বিদেশী সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করা হবেই।
তিনি আজ দুপুরে জেলার সার্কিট হাউজ ময়দানে জেলা আওয়ামী লীগ ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এডভোকেট সাহারা খাতুন এমপি, ধর্মমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি, এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি প্রমুখ।
বেগম মতিয়া চৌধুরী ’৭৫ পরবর্তী সময়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কর্মকান্ডের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, জিয়াউর রহমান নামে মুক্তিযোদ্ধা কাজে ছিলেন স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের আশ্রয়দাতা।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের পর রাজাকারদের জেল থেকে ছেড়ে দিয়েছেন আর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছেন। তার সময়ে দেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছে।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি জামায়াত সরকাররের পতন ঘটানোর জন্য দেশকে অস্থিতিশীল করতে সকল ধরনের ষড়যন্ত্র করেছে।
তিনি বলেন, পেট্রলবোমা দিয়ে দেশের নিরীহ মানুষকে হত্যা করে সরকার পতনে ব্যর্থ হয়ে তারা গুপ্ত হত্যার পথ বেঁছে নিয়েছে। তারা দু’বিদেশী নাগরিককে হত্যা করে গুপ্ত হত্যা শুরু করে এবং তা এখনো অব্যাহত রেখেছে।
আওয়ামী লীগের এ নেতা আরো বলেন, জামায়াত-শিবির বিভিন্ন নাম ধারণ করে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য গুপ্তহত্যার মতো জঘন্য পথ বেছে নিয়েছে।
অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে দেশে বিএনপি-জামায়াতের আর কোন কর্মীকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই কেউ যাতে ষড়যন্ত্র করে সফল হতে না পারে সেজন্য আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
এর আগে জতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্ধোধন করেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি। সভাপতির বক্তব্যদান কালে সৈয়দ আশরাফ সম্মেলন এক ঘন্টার জন্য মুলতবি করেন।
পরে সৈয়দ আশরাফ কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে মঞ্চে যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ববর্তী কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন।
তিনি শান্তিপূর্ণভাবে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষ করায় সকল নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
২০০৩ সালে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। দীর্ঘ দিন পর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে আনন্দের জোয়ারের সৃষ্টি হয়। সকাল থেকেই জেলা, মহানগর ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতা-কর্মীরা বিশাল মিছিল নিয়ে সম্মেলনে যোগদান করে। পুরো সার্কিট হাউজ ময়দান লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন