শেষ পর্যন্ত আমি তাঁকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য হই, কিন্তু এখন…
আমার বয়স ২৭ বছর। মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছি এবং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী করি। ২ বছর আগে ডিভোর্স হয়েছে। প্রায় ৮ মাস আগে একটি ছেলের সাথে আমার মোবাইলে পরিচয় হয়। পরে জানতে পারি সে আমার নানার এলাকার। কথা বলতে বলতে তার সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়ে যায়। আমার জীবনের সব কথাই ওর সাথে শেয়ার করেছি। ও এখন আমাকে বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে উঠেছে।
ও আমার খুব যতœ নেয়, এভোয়েড করলে কান্নাকাটি করে। আমি ওকে ভালোবাসি কিনা জানিনা কিন্তু ও কান্নাকাটি করলে খুব খারাপ লাগে, নিজেকে অপরাধী মনে হয়। আমি এরকম ভালোবাসায় বিশ্বাস করিনা কারণ আমার স্বামীও আমাকে এরকম ভালোবেসেই বিয়ে করেছে। অথচ শেষ পর্যন্ত আমি তাকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য হই। ওই ছেলেকে এসব বললে ও বলে আরেকজনের শাস্তি কেন আমাকে দিবা? শিক্ষাগত দিক থেকেও সে আমার চেয়ে পিছিয়ে। মাত্র এইচ এস সি পাশ। ও বিদেশে একটি সরকারী চাকুরী করে আর ব্যবসা করে। বলছে বিয়ের ৩ মাসের মাঝে আমাকে ওর কাছে নিয়ে যাবে এবং ভালো জব দিবে।
আমি কী করবো বুঝতে পারছিনা। বিয়ের পর যদি বিদেশ না নেয় তখন কী করবো? আর দেশে থাকলে আমার পরিবার তো মেনে নিবেনা। আমি বলেছি পরিবার রাজী হলে বিয়ে করবো কিন্তু ও বলছে কোর্ট ম্যারেজ করতে। আমার নিজেরও একা জীবন ভালো লাগেনা। একবার ভাবি ওকে বিয়ে করবো আবার ভাবি করবো না। চিন্তায় রাতে ঘুম হচ্ছেনা। ঠিকমত কাজ করতে পারছিনা। কী করবো বলুন দয়া করে।
প্রশ্নটি আমাদের ফেসবুক পেজে করেছেনঃ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নারী।
পরামর্শ-
আপনার সাথে যা হয়েছে সেটা খুবই দুঃখজনক আপু। ভালোবেসে কাউকে বিয়ে করার পর যদি ডিভোর্স দেয়ার মত অবস্থা হয়, সেটা আসলেই বেদনাদায়ক। যাই হোক, এতে তো আর জীবন থেমে থাকবে না। জীবনকে সামনে নিতেই হবে। আপনারও উচিত হবে অতীতকে ভুলে নিজের ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়ানো।
তবে হ্যাঁ আপু, আমার মনে হয় এই ছেলেটিকে আপনার এখনোই বিয়ে করা উচিত না বা করলেও খুব ভেবেচিন্তে হবেই করা উচিত। একাকী জীবন কারোই ভাল্লাগে না। কিন্তু ছেলেটির অনেক কিছুই আমার ভালো লাগছে না। আপনার চাইতে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা কম এটা একটা বিষয় বটে। তারপর এত কম শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে দেশের বাইরে সরকারী চাকুরি করে… এটা শুনে আমার মনে হচ্ছে না সে কোন ভালো চাকুরি করে। তাছাড়া আপনার মত উচ্চ শিক্ষিত একটা মেয়েকে তাঁর মত একজন কী চাকরি দেবে? কোর্ট ম্যারেজ করার ব্যাপারটাও সন্দেহজনক। আজকাল বিয়ের ফাঁদে ফেলে মেয়েদের বিদেশে নিয়ে দেহব্যবসায় লাগানো হয়, বিশেষ করে ডিভোর্সি ও বিধবা মেয়েরাই থাকে টার্গেট। তাই আপু, আমার মনে হয় অনেক ভেবেচিন্তে অগ্রসর হওয়া উচিত।
প্রথমত, কোন অবস্থাতেই পরিবারের সম্মতি ছাড়া এবং তাঁর পরিবারকে ভালোভাবে যাচাই বাছাই করা ছাড়া বিয়েতে রাজি হবেন না। দ্বিতীয়ত, আপনার বয়স মাত্র ২৭। এখনোই যে আপনাকে বিয়ে করে সংসার পাততে হবে এমন কোন কথা নেই। আমার মনে হয় মাস্টার্স শেষ করে নিজের ক্যারিয়ারটা গুছিয়ে তবেই বিয়ে করুন। ছেলেমানুষি আবেগ যতটা তীব্র হয়, তত জলদি ফুরিয়েও যায়। না দেখে শুনে কাউকে হুট করে বিয়ে করে ফেলাটা মোটেও উচিত হবে না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন
চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন
চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন