শেষ ফেসবুক স্ট্যাটাসে যা লিখেছিলেন দীপন

‘ওপারে থাকব আমি, তুমি রইবে এপারে, শুধু আমার দু’চোখ ভরে দেখব তোমারে…।’-অনুপম রায়ের এ গান ছিল ফয়সাল আরেফিন দীপনের শেষ ফেসবুক স্ট্যাটাস। এ গানের কথার মতোই তিনি দূর ওপারের বাসিন্দা। কিন্তু প্রাণোচ্ছল সৃজনশীল এ মানুষটির এ আকস্মিক চলে যাওয়া ক্ষুব্ধ করে তুলেছে তাঁর বন্ধু-বান্ধব তথা সাংস্কৃতিক জগতের অনেককে।
দুর্বৃত্তদের হামলায় জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপনের মৃত্যু এবং শুদ্ধস্বরের প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল, ব্লগার রণদীপম বসু ও তারেক রহিমের আহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে।
হামলার ঘটনার পর থেকে ব্লগার, সাংবাদিক, লেখক ও শিল্পীরা যার যার ফেসবুক দেয়ালে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সাময়িকী ‘সাপ্তাহিক’-এর সম্পাদক গোলাম মোর্তজা তাঁর ফেসবুকের পেজে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, দীপন আমাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ঢাকা কলেজে জীবনের স্বর্ণালি দুটি বছর কেটেছে এক সঙ্গে। গত বছর আমার একটি বইও প্রকাশ করেছে। শিক্ষিত, ভদ্র, বিনয়ী মানুষ প্রকাশক দীপন। সদা হাসি-খুশি দীপনও আজ …। বিদেশে চলে যাওয়ার সব সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আমরা যারা চলে যাইনি, দীপনও তাদের একজন। খুব লাভজনক না হওয়া সত্ত্বেও নেশার মতো লেগেছিল প্রকাশনার পেছনে। দেশে থেকে, দেশেই কিছু করতে চেয়েছিল। যারা দেশ ছেড়ে গেলাম না, তাদের পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে, এভাবে চলে যেতে হবে? কেউ দায় স্বীকার করবে, কাউকে দায়ী করা হবে। মন্ত্রী-রাজনীতিবিদদের সেইসব নোংরা দুর্গন্ধযুক্ত কথা আমাদের শুনতে হবে। বিচার হবে না হত্যাকারীদের..।’
ব্লগার অমি রহমান পিয়াল লিখেছেন, ‘আমরা নপুংসক অপেক্ষায় থাকি পরবর্তী মৃত্যু, ওরা অনায়াস আঘাত করে যায়…’।
প্রচ্ছদ শিল্পী তৌহিন হাসান লিখেছেন, ‘দিনে দিনে আমরা সবাই আক্রান্ত হচ্ছি… আমাদের দেখার কেউ নেই… টুটুল ভাই, রণদীপম দা, তারেক… প্লিজ বেঁচে থাকো তোমরা… আবার এক হতে হবে সবাইকে… এ ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই…।’
ভাষাচিত্রের প্রকাশক খন্দকার সোহেল লিখেছেন, ‘প্রিয় দীপন ভাই, আপনার হাসিমাখা মুখখানি আর দেখব না, ভাবতেই পারছি না। এ দেশ আমাদের নয়। ক্ষমা করে দেবেন আমাদের। একদিকে দীপন ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ, অন্যদিকে টুটুল ভাইয়ের হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই-খুব অসহায় বোধ করছি। এই দেশ আমার নয়…।’
লেখক স্বকৃত নোমান লিখেছেন, ‘সিনিয়র লেখকরা কোনো সিদ্ধান্ত দেবেন না জানি। যা করা দরকার তরুণদেরই করতে হবে। আসলে কি করা দরকার?’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন