সকালে কফি পানের অভ্যাস আছে? স্বাস্থ্যের জন্য ভালো!
কফি পান করতে করতে আপনার অবস্থা এমন হয়েছে যে কফির ঘ্রাণ ছাড়া যেন ঘুমই ভাঙ্গে না আপনার! কিন্তু এতে দুঃখ করার কিছু নেই। আপনার এই “খারাপ” অভ্যাসটিই কিন্তু বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা থেকে আপনাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে!
১) স্ট্রোক
যারা দৈনিক অনেকটা করে কফি, গ্রিন টি বা দুটোই পান করে থাকেন তাদের মাঝে স্ট্রোকের ঝুঁকি কম দেখা যায়।
২) ডায়াবেটিস
গবেষণায় দেখা যায় যারা চার বছরের মাঝে এক কাপের বেশি কফি পানের অভ্যাস গড়ে তুলেছেন তাদের মাঝে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায় ১১ শতাংশ।
৩) স্ট্রেস
কফির সুবাসে কি আপনার ক্লান্তি দূর হয়ে যায়? তবে জেনে রাখুন সত্যিই শরীর থেকে অনিদ্রার ক্লান্তিজনিত স্ট্রেস দূর করতে ভূমিকা রাখে কফি।
৪) দাঁতের ক্ষয়
দাঁতের যত্ন তো নিতে হবে বটেই, এর পাশাপাশি কফি পানেও দাঁতের ক্ষয় কমে। তবে কফির সাথে দুধ-চিনি মেশালে আবার এই সুবিধা পাওয়া যায় না।
৫) পারকিনসন্স ডিজিজ
এই বংশগত রোগটি যদি আপনার পরিবারেও থাকে, তবে আপনার কফি পানের অভ্যাস থাকলে এই রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি কমে আসবে।
৬) ব্রেস্ট ক্যান্সার
২০১০ সালের একটি গবেষণা বলে,বেশ কড়া কফি দিনে চার কাপের বেশি পান করলে কমে আসে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি।
৭) হৃদরোগ
দিনে তিন থেকে চার কাপ কফি পান করলে ধমনী ব্লক হয়ে যাবার সম্ভাবনা কমে। এছাড়াও মেনোপজ-পরবর্তি বয়সে নারীরা দৈনিক এক থেকে তিন কাপ কফি পান করলে তাদের হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকি কমে।
৮) গলা এবং মুখের ক্যান্সার
ক্যান্সারের ব্যাপারে কফির ভূমিকা নিয়ে গবেষকদের মাঝে মিশ্র মতামত থাক্লেও ২০১২ সালের এক গবেষণায় দেখা যায় গলা ও মুখের ক্যান্সার রোধে দিনে চার কাপের বেশি কফি পান ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
তবে কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। বেশিরভাগ চিকিৎসকের মতে, দিনে অল্প কয়েক কাপ কফিই যথেষ্ট। আর এতে বেশি ক্রিম ও চিনি মেশানো মোটেই ঠিক হবে না। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় এবং কিছু বিশেষ রোগে কফি পানে বারণ থাকে। এসব ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা উচিৎ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন
জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন