সদর হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়ে গেল হনুমান!
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চুঁচুড়া ইমামবাড়া (সদর) হাসপাতালে সবে মাত্র সকাল হয়েছে। পুরুয ওয়ার্ডে কেউ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। কেউ ঘুম থেকে উঠে চোখ কচলাচ্ছেন। কারও স্যালাইন চলছে। হঠাৎই প্রবেশ পবনপুত্রের। মুহূর্তে ত্রাহি ত্রাহি রব রোগীদের মধ্যে। একজন তো হুড়োপাড়িতে শয্যা থেকে পড়েও গেলেন। কিন্তু সে সবে কোনও ভ্রূক্ষেপই নেই তার।
এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখে একটু পরেই খোলা দরজা দিয়ে সোজা চলে গেল নার্সদের ঘরে। রাতভর ডিউটির দুজন নার্স সবে চেয়ারে একটু হেলান দিয়ে বসেছেন।আচমকা ঘরে মূর্তিমানকে দেখে ভয়ে তাদেরও আত্মারামের খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড়। কী করা উচিত তা ভাবত ভাবতেই কাটছে সময়। কিন্তু বার বার নিজের পা তুলছে কেন হনুমানটা।হঠাৎই তাদের একজনের নজরে পড়ল তার ডান পায়ের দিকে। ছাল উঠে বেশ রক্তে দগদগে হয়ে গিয়েছে। কিছুটা আঁচ করে আর কোনওমতে সাহস করে তিনি এগিয়ে যান আহত হনুমানটির দিকে। ধীরে ধীরে হাত দিয়ে দেখেন ক্ষতস্থান।
ওই নার্সের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, ‘টেবিলের উপর তখন একেবারে বাধ্য রোগীর মতো চুপ পবননন্দন। আস্তে আস্তে ওষুধ লাগিয়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে দিই।ব্যান্ডেজ বাঁধার পরে গায়ে দুইবার হাত বুলোতেই ধীরে ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে এ গাছ সে গাছ করতে করতে অদৃশ্য হয়ে গেল।’
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা একটি সংস্থার সম্পাদক বিশাল সাঁতরার জানান, এ ক্ষেত্রে ঠিক কী কারণে হনুমানটি হাসপাতালে ঢুকে পড়েছিল, বলা মুশকিল। হতে পারে আগে কোনও হনুমানকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এবং তার পরে সুস্থ হতে দেখেছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এসেছে।
আহত হনুমানের চিকিৎসা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে সাঁতরার।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন