সনদ বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হয় স্বামী-স্ত্রীর
প্রতিবেশীর ঘরে আগুন দেখে একমাত্র শিশুসন্তানকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন সৈয়দ আহমেদ (৩০) ও তার স্ত্রী রীনা আক্তার (২৫)। কিন্তু ঘরে রয়ে গেছে সনদসহ বিভিন্ন দরকারি কাগজপত্র।
তাই সন্তানকে রেখে ঝুঁকি নিয়ে ফের ঘরে ঢোকেন তারা। আর বের হতে পারেননি। ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে নিজের ঘরেই মারা যান ওই দম্পতি। আগুন পুরোপুরি নেভার পর ঘরের ভেতর খাটের ওপর দু’জনকে নিথর অবস্থায় পাওয়া যায়।
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোররাতে চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার বলিরহাটের শাহাজীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, দুই বছরের শিশু সন্তান আদিয়াতকে নিয়ে ওই ঘরে থাকতেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের হিসাব বিভাগের কর্মী সৈয়দ ও সরকারি সিটি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রীনা। রবিবার ভোররাতে হঠাৎ পাশের ঘরে আগুন লাগে। এ অবস্থায় ছেলেকে ঘরের বাইরে এনে এক স্বজনের হাতে দেন রীনা। তারপর সবার সঙ্গে ছাদে গিয়ে পানি ছোড়েন রীনা-সৈয়দ দু’জনই। আগুন একটু কমে আসলে রীনা নিজের পরীক্ষার সনদ এবং স্বামীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে পুনরায় বাসায় ঢোকেন। তার দেরি দেখে ঢোকেন সৈয়দ। কিন্তু তারা আর ফিরে আসেননি। পরে আগুন নিভলে ঘরের মধ্যে খাটের ওপর দু’জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
সৈয়দ আহমেদ ও তার স্ত্রী রিনাকে ভোরের দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
বাবা-মা হারিয়ে শিশুটির কান্না থামছেই না। বাবা-মা হারানো নাতি আদিয়াতকে কোলে নিয়ে বিলাপ করছেন সৈয়দের ষাটোর্ধ্ব মা নূর বানু।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা নজরুল জানান, শাহাজীপাড়ার ওই বাসায় ভোর পৌনে ৪টার দিকে আগুন লাগার খবর পান তারা। কালুরঘাট ও লামারবাজার ফায়ার স্টেশনের চারটি গাড়ি গিয়ে সাড়ে ৪টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে আশপাশের বেশ কয়েকটি ঘর পুড়ে গেছে। সূত্র: বিডিনিউজ
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চট্টগ্রামে চিনির গুদামে আগুন- ১৭ ঘণ্টা পরও পুরোপুরি নেভেনি
গতকাল (৪ মার্চ) বিকালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার ঈসানগর এলাকায় অবস্থিতবিস্তারিত পড়ুন
পাল্টাপাল্টি অবস্থানে ছাত্রলীগ চবিতে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক আমীর উদ্দিনকে অপসারণ ও লাঞ্ছনার বিষয়েবিস্তারিত পড়ুন
ঋণের বোঝা নিয়ে দম্পতির ‘আত্মহত্যা’
মন্দিরের পাশেই কুঁড়েঘরে থাকতেন পুরোহিত স্বপন দে ও তাঁর স্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন