সন্তানকে বাঁচাতে সাপের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল মা ! (ভিডিও)
পৃথিবীতে মা এবং সন্তানের সম্পর্কের মতো পবিত্র সম্পর্ক কমই আছে। একজন মায়ের কাছে তার সন্তানের চেয়ে মূল্যবান আর কিছুই নেই। এই নিয়ম প্রাণীজগতের সর্বত্র প্রযোজ্য। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে ওঠা একটি ভিডিও-এ সেই নিয়মই যেন নতুন করে প্রমাণিত হয়েছে। নিজের সন্তানকে বাঁচাতে এক খরগোশ-মা কী করতে পারে, তা দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেছে দর্শককুল।
ভিডিও-টির উৎস অজানা। তবে ভিডিও যারা শ্যুট করেছেন, তাদের মুখের কথা যেটুকু শোনা যাচ্ছে ভিস্যুয়ালের নেপথ্যে, তা থেকে অনুমান করা যাচ্ছে, ভিডিও-টি শ্রীলঙ্কার। কী রয়েছে এই ভিডিও-এ? দেখা যাচ্ছে, একটি ছোট্ট খরগোশ শাবককে নিজের কবলে নিয়ে ফেলেছে একটি কালো রঙের বিষধর সাপ। সেই সাক্ষাৎ মৃত্যুদূতের কবলে ছোট্ট খরগোশটি নিতান্ত অসহায়। ছটফট করার ক্ষমতাও তখন তার লুপ্ত। নিজের লেজে পেঁচিয়ে ধরে বিশালাকার সাপটি তখন একটু একটু করে খরগোশ-শাবকটিকে গিলে খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু তখনও সে জানে না, তার ভাগ্য এতটাও প্রসন্ন নয় তার প্রতি।
একটু পরেই দেখা যাচ্ছে, বাচ্চা খরগোশটির মা কোথা থেকে দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ছে সাপটির উপর। এই হঠাৎ আক্রমণে বিষধর জীবটি তার কবল থেকে ছেড়ে দিচ্ছে ছোট্ট খরগোশটিকে। কিন্তু কালসর্প অতো সহজে হার মানতে রাজি নয়। সে আবার ঘুরে আক্রমণ করছে মা-খরগোশকে। শুরু হচ্ছে লড়াই। সাপের অস্ত্র তার বিষাক্ত ছোবল, আর খরগোশের অস্ত্র তার সন্তানস্নেহ। এই অসম লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কিন্তু হার মানতে বাধ্য হচ্ছে সাপটি। তখন খাদ্যের থেকেও তার কাছে জরুরি মা-খরগোশের ধারালো দাঁতের হাত থেকে নিজেকে বাঁচানো। মা আর বাচ্চাকে ছেড়ে সে দ্রুতবেগে পালাতে শুরু করছে। কিন্তু মা-খরগোশ শিশুর নিরাপত্তা সম্পর্কে সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত হতে চায়। সে তাই সাপটিকে তাড়া করে একেবারে দূরে দিয়ে আসছে।
‘মামা র্যাবিট’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড হওয়া এই ভিডিও এখন ভাইরাল হয়ে গেছে। কয়েক লক্ষ মানুষ দেখে ফেলেছেন ভিডিওটি। প্রত্যেকেই সন্তানের প্রতি মায়ের এই বাৎসল্য দেখে রীতিমতো মুগ্ধ। এই ভিডিও তাদের শিহরিত যেমন করেছে, তেমনই আবেগে তাদের চোখে এসেছে পানি। সূত্র: এবেলা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন