‘সবুজ অর্থনীতি গড়ে তুলতে বাংলাদেশ জাতীয় থ্রিআর কৌশল প্রণয়ন করেছে’
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, সবুজ অর্থনীতি বা গ্রিন ইকোনোমি গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাতীয় থ্রিআর কৌশল প্রণয়ন করেছে।
অস্ট্রেলিয়া সফররত শিল্পমন্ত্রী আজ ‘সম্পদের দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব বা সবুজ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পায়ন শীর্ষক প্লেনারি সেশনে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। শিল্পমন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ গৃহিত থ্রিআর কৌশলে উৎপাদনমুখী কর্মকান্ডে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের দক্ষতা বৃদ্ধি ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতে পরিবেশ সংরক্ষণের অন্যতম মৌলিক ধারণা থ্রিআর কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে সবুজ পণ্য উৎপাদন ও সবুজ ব্যবসার ধারা জোরদার করা সম্ভব হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সপ্তম এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক থ্রিআর ফোরাম উপলক্ষে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার এডেলেইড কনভেনশন সেন্টারে এ অধিবেশনের আয়োজন করা হয়।
অধিবেশনে পৃথকভাবে দু’টি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে কমনওয়েল্থ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্স অর্গানাইজেশন এর পরিচালক সারা কিং এবং ভারতের ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি কাউন্সিলের পরিচালক কে.ডি. ভার্ডওয়াজ।
এতে ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক নগুয়েন থাই হোয়াং থুই, কোরিয়ার পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক বৈয়াং লি, পাকিস্তানের ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা আবদুল গাফ্ফার, ফিলিপাইনের ডি লা সালে ইউনির্ভাসিটির অধ্যাপক চুই সান ফাং এবং জাপানের নোরিকাজু নাকাতসুবু আলোচনায় অংশ নেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, কল-কারখানা থেকে বের হওয়া বর্জ্যকে কোনোভাবেই অপ্রয়োজনীয় ও মূল্যহীন বলে ফেলে দেয়া সমীচিন নয়। উন্নত প্রযুক্তির অভাবে এতদিন এসব শিল্পবর্জ্য পরিবেশ দূষণ করলেও উন্নত দেশগুলোতে থ্রিআর কৌশল ব্যবহার করে এগুলোকে সম্পদে পরিণত করা হচ্ছে। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতেও বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করতে কাঁচামালের অপচয় হ্রাস, বর্জ্য পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রক্রিয়াকরণের কৌশল কাজে লাগাতে হবে। শিল্প কারখানায় পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ও সামাজিকভাবে সুফল পেয়েছে বলে তিনি তুলে ধরেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদাহরণ টেনে শিল্পমন্ত্রী বলেন, এসএমইখাতে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার ও পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইউরোপের শিল্প কারখানায় বছরে ৬৩০ বিলিয়ন ইউরো সাশ্রয় হচ্ছে। এসব শিল্প কারখানায় প্রক্রিয়াজাত কাঁচামাল পুনর্ব্যবহারের ফলে রিসাইকেবল কাঁচামালের চাহিদা বাড়ছে। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও একই ধরনের প্রযুক্তি প্রয়োগ করে ব্যবহৃত কাঁচামালের পুনর্ব্যবহার করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি শিল্পখাতে উৎপাদন খরচ কমে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূস: নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এবার দুর্গাপূজারবিস্তারিত পড়ুন
সোমবারের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করেনবিস্তারিত পড়ুন
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৪ কোটি ডলার
এ মাসের প্রথম ১৪ দিনে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখবিস্তারিত পড়ুন