সব কাজ ফেলে সরকারি হাসপাতালে হবু মায়েদের নিয়ে পিকনিক! কেন?
রাজ্যের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেই প্রথম এমন উদ্যোগ নেওয়া হল। পূর্ব ঘোষণা্ অনুযায়ী জেলার জঙ্গলমহলের শালবনী অঞ্চলের গর্ভবতী মায়েদের নিয়ে একটি পিকনিক কর্মসূচী নেওয়া হয়েছিল৷
হবু মায়েরা দিনভর মাতলেন পিকনিকে৷ সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত খাওয়া-দাওয়া, হই-হুল্লোড় সেরে বিকালে ফিরলেন বাড়িতে৷ বাড়ি থেকে রীতিমতো চার চাকায় করে নিয়ে এসে পিকনিকের শেষে হবু মায়েদের ফের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা হল। কিন্তু হবু মায়েদের এমন পিকনিকের আয়োজন কে বা কারা করলেন? আসলে সরকারি হাসপাতালের যে চিকিৎসকদের অধীনে চিকিৎসা চলছে তাঁদের, সেই ডাক্তারবাবুরাই পিকনিকের আয়োজন করেছিলেন৷ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের উদ্যোগেই এই ব্যবস্থা। গ্রামীণ এলাকার গর্ভবতী মহিলারা যাতে সন্তান প্রসবের জন্য হাসপাতালমুখী হয়, সেই উদ্দেশ্যেই এমন অভিনব উদ্যোগ।
রাজ্যের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেই প্রথম এমন উদ্যোগ নেওয়া হল। পূর্ব ঘোষণা্ অনুযায়ী জেলার জঙ্গলমহলের শালবনী অঞ্চলের গর্ভবতী মায়েদের নিয়ে একটি পিকনিক কর্মসূচী নেওয়া হয়েছিল৷ এজন্য শালবনীতে থাকা ১০টি সাব-সেন্টারকে চিহ্নিত করে প্রত্যেকটি থেকে তিনজন গর্ভবতী মহিলাকে নির্বাচিত করেছিলেন আশাকর্মীরা৷ আশা কর্মীরা তাঁদের আগে থেকেই জানিয়ে রেখেছিলেন যে, শুক্রবার তাঁদের নিয়ে পিকনিক হবে৷ সেইমতো ওই দিন সকালে এলাকাতে নির্দিষ্ট সময়ে স্বাস্থ্য দফতরের একটি গাড়ি পৌঁছে গিয়েছিল৷ আশা কর্মীদের তত্ত্বাবধানে হবু মায়েদের বাড়ি থেকে নিয়ে শালবনী গ্রামীণ হাসপাতালে হাজির করা হয়৷ সকাল থেকে এমন ২৭জন মহিলাকে নিয়ে হাসপাতালের সভাঘরে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷ পিকিনিকে জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ চিকিৎসকরাও ছিলেন৷ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শালবনীর বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা৷
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খাওয়া-দাওয়ার ফাঁকেই চলে আলোচনা পর্ব৷ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা জানান, ‘নিরাপদ মাতৃত্বকে সুনিশ্চিত করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব বাড়ানোর লক্ষ্যে এই পিকনিকের আয়োজন৷ কারণ, এখনও জঙ্গলমহল-সহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকাতে অনেক মহিলারা বাড়িতেই প্রসব করার চেষ্টা করেন৷ এই প্রবণতা বন্ধ করতেই আমাদের এই উদ্যোগ।’
এই পিকনিক পর্বে উপস্থিত মহিলাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্র সম্পর্কে তাঁদের ভুল ধারণাগুলি ভাঙার চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা৷ এর পরে তাঁদের হাসপাতালের ভিতরে থাকা প্রসব ইউনিট ঘুরে দেখিয়ে কী কী সুবিধা ও নিরাপত্তা রয়েছে, তা দেখানো হয়৷ প্রসবের পরে শিশুর ক্ষেত্রে চিকিৎসার জন্য কী পরিষেবা রয়েছে, তাও মায়েদের জানানো হয়। সন্তানসম্ভবাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সমন্ধে ভুল ধারণা ভেঙ্গে নিরাপদ মাতৃত্ব সম্পর্কে বুঝিয়ে দিনভর পিকনিকের মেজাজে মাতিয়ে রাখা হয়৷
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন