সব পণ্যে শুল্ক ও কোটামুক্ত সবিধা চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
চীনের প্রেসিডেন্ট শিং জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সব পণ্যে শুল্কমুক্ত সবিধা চেয়েছেন। আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে এই সুবিধা চান রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন পরে সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের সব পণ্যে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব বলেন, ‘সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘আমাদের অনুরোধ বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চীনের বাজারে বাংলাদেশের সব পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে ছিলেন।
অর্থনৈতিক, বাণিজ্য, কৃষি, শিল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বলেও মত দেন চীনের প্রেসিডেন্ট।
রাষ্ট্রপতির অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বলেন, পঞ্চাশের দশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চীন সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সূচনা শুরু হয়। চীনা প্রেসডেন্টের সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের ‘সর্বাত্মক অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার সেই সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতায়’পৌঁছে যাবে বলে তিনি ‘বিশ্বাস’করেন।
বঙ্গভবনের কেবিনেট হলে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। এ সময় রাষ্ট্রপতি চীনের প্রেসিডেন্টকে বলেন, চীনের যেমন ‘চাইনিজ ড্রিম’আছে বাংলাদেশেরও আছে ‘ভিশন ২০২১’ও ‘ভিশন ২০৪১’।
চীনকে বাংলাদেশের ‘বড় ব্যবসায়িক অংশীদার’উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেছেন, দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং টেলি যোগাযোগে চীনের সহযোগিতাকে বাংলাদেশ গুরুত্ব দেয়।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সন্মানে আবদুল হামিদের দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ভোজে উপস্থিত ছিলেন।
দুই দিনের সফরে সকালে ঢাকা পৌঁছান চীনের প্রেসিডেন্ট। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি হামিদ।
বিকালে শি জিনপিং ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। পরে তাদের উপস্থিতিতে ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই হয়, ছয়টি প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করেন তারা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন