সহকর্মীরা আমাকে ঘৃণা করে, কারণ আমি আমার কাজ করি
প্রিয় লিজ,
আমি এখন একটি বাজে কর্মপরিবেশে আছি। গত জানুয়ারিতে এক ধাপ নিচের একটি চাকরি নেই আমি। এছাড়া আমার আর কোনো উপায় ছিল না। এর আগে গত অক্টোবরে আমি চাকরি হারাই। অক্টোবরে চাকরি হারানোর পর সর্ব প্রথম এই চাকরির প্রস্তাবটিই পাই আমি। আমার কাছে কোনো টাকা ছিল না বলে আমি এই চাকরির প্রস্তাবটি গ্রহণ করি।
একটা বিষয় ছাড়া আমার চাকরির সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল। আমি একটি মার্কেটিং ফার্মের সিনিয়র অ্যাকাউন্ট বিশেষজ্ঞ। আমি যখন চাকরিটি শুরু করি তখন আমি খুবই উত্তেজিত ছিলাম। এর ১০ বছর আগেও আরেকটি কম্পানিতে আমি একই চাকরি করেছি। আমি একটি ভালো কম্পানিতেই কাজ করছি। এর ব্যবস্থাপকরা বেশ চটপটে এবং সহানুভূতিশীল। কিন্তু তারা তাদের কর্মীদের পারফর্মেন্স সম্পর্কে কোনো খোঁজ খবরই রাখেন না।
১০ জন অ্যাকাউন্ট স্পেশালিস্টের মধ্যে আমিও একজন। আর আমিই বয়সে সবার বড়। আমার সহকর্মীদের অনেকে অবিশ্বাস্যরকম ফাঁকিবাজ। তারা পুরো সপ্তাহে যে কাজ করেন আমি তা একদিনের অর্ধেক সময়েই করি। তারা কোনো কিছুরই পরোয়া করেন না।
তারা একটি ফোন কল করেই ফেসবুকে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এর আধা ঘন্টা পর তারা একটি ইমেইলের উত্তর দেন। এখানকার ম্যানেজাররা জানেন না যে তাদের কর্মীরা তাদেরকে ফাঁকি দিয়েই ফায়দা লুটছেন।
চাকরিটি শুরু করার পর প্রথম কয়েক সপ্তাহ সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল। এরপর আমার সহকর্মীরা মন্তব্য করতে শুরু করেন। আমার টিমমেট বলেন, “তোমার কারণে আমাদেরকে নিষ্কর্মা ভাবা হচ্ছে”। আরেকজন বলেন, “ধীরে চলো ভাই। প্রথম মাসেই চাকরির সবকিছু করার দরকার নেই।” আমি অন্যদের নিয়ে মাথা ঘামাই না। সহকর্মীরা কোনো কাজ না করলেও আমি তাদের নিয়ে মাথা ঘামাবো না। কিন্তু নিজের কাজটুকু স্বাভাবিক গতিতেই সম্পন্ন করার ফলে বাঁকা দৃষ্টি এবং কটু মন্তব্যের শিকার হওয়াটা ভালো লাগে না!
তবে এখানকার সকলেই আমার প্রতি শত্রুভাবাপন্ন নন। আমার অনেক সহকর্মী আছেন বেশ ভালো। তার নিজেরা কঠোর পরিশ্রম করেন এবং আমি যে কঠোর পরিশ্রম করি তারও প্রশংসা করেন। তথাপি আমার টিমের একটি বড় অংশই দিনে কোনো কাজ করেন না। আর তারা চায়না আমিও কোনো কাজ করে তাদেরকে নিষ্কর্মা হিসেবে প্রমাণ করি। আমি এখণ কী করব?
ধন্যবাদ,
রাইলি
প্রিয় রাইলি
আপনি আপনার কর্মস্থলের পানিতে একটি পাথর ছুড়ে মেরছেন যার ফলে ঢেউ ছড়িয়ে পড়ছে। আপনি ওই চাকরিতে থাকায় সেখানকার অনেকেই বেশ সুখি। কিন্তু অনেকই আবার বেশ অসুখি।
তারা তাদের অনুভূতি নিয়ে আছেন। তাদের অনুভূতিকে আপনাকে আক্রান্ত করতে দিবেন না। সকলেই আপনাকে পছন্দ করবে এমন কোনো কথা নেই। বিশ্বে ৭০০ কোটি মানুষ আছে। আপনি যাই করেন না কেন এই ৭০০ কোটি মানুষের সকলেই আপনার কাজ পছন্দ করবে না। এতে আপনার কোনো সমস্যাও নেই।
আপনি বরং যারা আপনার সক্রিয় কর্মতৎপরতা পছন্দ করেন তাদের পেছনে নিজের সময় এবং মনোযোগ বিনিয়োগ করুন। যারা আপনাকে কটু মন্তব্য করেন তাদের প্রতি কোনো জবাব দিতে যাবেন না। তাদের কটু মন্তব্যের জবাবে তাদেরকে বরং একটি মুচকি হাসি উপহার দিন।
আপনি আপনার কাজ চালিয়ে যেতে থাকুন। একটা সময়ে দেখবেন তারা এসে তাদের ওপর আপনার কাজের ইতিবাচক প্রভাবের মূল্যায়ন করবেন।
যখন সহকর্মীরা আপনার প্রতি শত্রুতা প্রদর্শন করবে তখন গভীরভাবে শ্বাস গ্রহণ করুন। মনে মনে নিজেকে বলুন, “আমি ভালো আছি। আমার যা করার দরকার আমি তাই করছি। আর আমার চারপাশের লোকেরাও এই মুহূর্তে তাদের যা করার দরাকার তাই করছেন।”
আপনি আপনার শত্রুভাবাপন্ন সহকর্মীদের জন্য একজন শিক্ষক, যা হয়তো আপনি জানেনও না। আবার তাদের কাছ থেকেও আপনার অনেক কিছু শেখার আছে।”
ভালো থাকবেন
লিজ
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন