সহকর্মী আতিকুর বাঁচাতে পারতেন রাবি শিক্ষিকা আকতার জাহানকে!
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহান জলির আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া তাঁর সহকর্মী আতিকুর রহমান রাজা ২৪ ঘন্টা পার হলেও ছাড়া পাননি। এমনকি তাকে মামলায় গ্রেফতারও দেখানো হয়নি। ফলে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিভাগের সংশ্লিষ্টদের মধ্যে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয় শিক্ষিকা জলির আত্মহত্যার ঘটনা ভিন্ন দিকে মোড় নিচ্ছে বলেও ধারণা গোয়েন্দা পুলিশ, বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের।
গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা দাবি করছেন- ‘শিক্ষিকা জলির সঙ্গে সহকর্মী আতিকুরের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। ফলে ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা কতটুকু, আত্মহত্যার প্ররোচনা পর্যায়ে পড়ে কিনা সেসব দিক পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’
পুলিশ হেফাজতে থাকা গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং রাবির সাবেক সহকারী প্রক্টর আতিকুর রহমানকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন।
আতিকুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এমন একজন কর্মকর্তা নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘শিক্ষিকা আকতার জাহান জলির মোবাইলে ব্যবহৃত সিম কার্ডের কল রেকর্ড পর্যালোচনা করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেখানে স্পষ্ট হয়েছে, জলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল সহকর্মী আতিকুর রহমানের। শিক্ষিকা জলির মানসিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত ছিলেন তিনি। ইচ্ছে করলে জলিকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া থেকে রক্ষা করতে পারতেন আতিকুর।’
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে তার সম্পৃক্ততায় কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তথ্যগুলো এখনও অস্পষ্ট। বিষয়গুলো ক্লিয়ার হওয়ার জন্য উনাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে কিনা তা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাবির শিক্ষকদের আবাসিক জুবেরী ভবনের নিজ কক্ষ থেকে আকতার জাহান জলির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে তাঁর নিজ হাতে লেখা চিরকুট পাওয়া যায়।
তাতে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে সন্তানের গলায় ছুরি ধরার অভিযোগের কথা লিখে যান তিনি। তবে নিজের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় জানিয়ে লেখেন, ‘শারীরিক ও মানসিক কারণে আমি আত্মহত্যা করলাম।’ পরদিন তার ছোট বাদী হয়ে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পরদিন আকতার জাহানের সাবেক স্বামী সহযোগী অধ্যাপক তানভীর আহমদ নিজের ফেসবুক পোস্টে জানান, তাঁর সঙ্গে আকতার জাহানের চার বছর আগে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। বিভাগের জুনিয়র এক সহকর্মীর সঙ্গে তাঁর (আকতার জাহান) সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল বলে তিনি (তানভীর আহমদ) আতিকুর রহমান রাজার দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
এইচএসসির ফল প্রকাশ মঙ্গলবার, জানা যাবে যেভাবে
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করাবিস্তারিত পড়ুন
বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নতবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন