সাংসদপুত্রের আরও দুই বন্ধু জবানবন্দি দিচ্ছেন
রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে জোড়া খুনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় সাংসদপুত্র বখতিয়ার আলম রনির আরও দুই বন্ধু সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিচ্ছেন। তাঁরা হলেন—জাহাঙ্গীর ও টাইগার কামাল। ঢাকার মহানগর হাকিম নুরু মিয়া আজ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ওই দুজনের জবানবন্দি গ্রহণ করছেন। একই ঘটনায় গতকাল বুধবার আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন বখতিয়ারের আরেক বন্ধু আবাসন ব্যবসায়ী কামাল মাহমুদ।
গত ১৩ এপ্রিল রাতে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে সাংসদ ও মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পিনু খানের ছেলে বখতিয়ারের গুলিতে দুজন শ্রমজীবী মানুষ নিহত হন। গুলি ছোড়ার সময় বখতিয়ারের গাড়িতে ছিলেন কামাল।
মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল সকালে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কামাল মাহমুদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এ সময় তিনি ১৩ এপ্রিল রাতে সাংসদপুত্রের গুলিতে দুই ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দিতে রাজি হন। এরপর তাঁকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নিয়ে যান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই দীপক কুমার দাস। আদালতে জবানবন্দি দিয়ে কামাল মাহমুদ বাসায় ফিরে যান।
মামলার তদন্ত ও আদালত-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, কামাল মাহমুদ জবানবন্দিতে বলেছেন, কল্যাণপুরে একটি জমির বেচাকেনা নিয়ে কথা বলতে তাঁকে বাংলামোটরে শ্যালে বারে ডেকে পাঠান সাংসদপুত্র বখতিয়ার। তিনি সেখানে এসে দেখেন, বখতিয়ার মদপান করছেন। বখতিয়ারের সঙ্গে আরও দুই বন্ধু জাহাঙ্গীর হোসেন ও টাইগার কামালও ছিলেন। রাত ১১টায় শ্যালে বার বন্ধ হয়ে যায়। তখন বখতিয়ার তাঁকে সোনারগাঁও হোটেলে মদ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে বন্ধু জাহাঙ্গীরকে বলেন। এতে জাহাঙ্গীর রাজি হলে তাঁরা চারজন (কামাল মাহমুদসহ) বখতিয়ারের প্রাডো গাড়িতে করে সোনারগাঁও হোটেলে আসেন। সেখানে বখতিয়ার, জাহাঙ্গীর ও টাইগার কামাল আবার মদপান করেন। কামাল মাহমুদ আদালতের কাছে দাবি করেন, তাঁর মদপানের অভ্যাস না থাকায় তিনি পান করেননি।
জবানবন্দিতে কামাল মাহমুদ বলেন, রাত দেড়টার দিকে তাঁরা সোনারগাঁও হোটেল থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠেন। বখতিয়ারের গাড়িচালক ইমরান ফকির গাড়ি চালাচ্ছিলেন। বখতিয়ার বসেন চালকের পাশের আসনে। বাকি তিন বন্ধু পেছনের আসনে। তাঁরা প্রথমে জাহাঙ্গীরকে মগবাজার ডাক্তার গলির সামনে নামিয়ে দেন। পৌনে দুইটার দিকে নিউ ইস্কাটনে এলএমজি টাওয়ারের সামনে পৌঁছালে গাড়ি যানজটে পড়ে। এতে বিরক্ত হয়ে বখতিয়ার লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে চার-পাঁচটি গুলি ছোড়েন। এরপর মিনিট খানেক গাড়িটি সেখানে ছিল।
কামাল মাহমুদ আদালতকে বলেন, গুলি করতে দেখে তিনি বখতিয়ারকে বললেন, এটা কী করলা? জবাবে বখতিয়ার বলেন, কিছু হবে না, চুপ থাকো। পরে টাইগার কামালকে ঘটনাস্থলের একটু দূরে নিউ ইস্কাটনে এবং তাঁকে (কামাল মাহমুদ) হাতিরপুলে নামিয়ে দিয়ে বখতিয়ার ধানমন্ডির বাসায় ফিরে যান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২৩
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থী, মহিলা আওয়ামী লীগবিস্তারিত পড়ুন