সাংসদের বিরোধিতায় গুনাইঘরে হারল নৌকা!
কুমিল্লা: দেবীদ্বার উপজেলার গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সি ও স্বতন্ত্র সাংসদ রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের বিরোধিতার কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করছেন দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
তাদের অভিযোগ, এই দুজনের বিরোধিতার কারণে নৌকার প্রার্থী হুমায়ুন কবির ৯৪৩ ভোটে পরাজিত হন।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, সাংসদ রাজী মোহাম্মদের নির্দেশে নির্বাচনের আগের দিন (৩ জুন) রাতে বিজিবি ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হুমায়ুন কবিরের সমর্থকদের দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলা করে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এর আগে সন্ধ্যায় প্রথমে পদ্মকোট বাজারে নৌকা শোভিত তোরণ থেকে নৌকা খুলে মাটিতে ফেলে দেয় তারা।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের ভাই আওয়ামী লীগের নেতা রোশন আলী মাস্টারের বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর করা হয়।
এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগের ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলার কথা তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
তারা অভিযোগ করেন, মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, শাকতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র এবং হাপুড়ঘাড়া দায়মিয়া সুফিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বল্লভপুর কেন্দ্রে প্রশাসনিক কায়দায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর আনারস প্রতীকের পক্ষে জাল ভোট দেয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় সাংসদের বাবা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ফখরুল ইসলাম মুন্সি এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আব্দুল হাকিম খানকে মনোনয়ন দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তৃণমূলের সমর্থন আদায় করতে পারেননি। ফলে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পান হুমায়ুন কবির। ফলে শুরু থেকেই ফখরুল ইসলাম মুন্সি ও তার অনুসারীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হাকিম খানের পক্ষে অবস্থান নেন। শুধু তা-ই নয়, নির্বাচনের আগেই নিজেদেও অনুগত প্রিসাইডিং অফিসার ও পুলিশ ফোর্স নিয়োগ করা হয়। সর্বশেষ নির্বাচনের আগের দিন এবং নির্বাচনের দিন প্রশাসন যন্ত্র ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. হুমায়ুন কবিরকে পরাজিত করা হয়।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “প্রশাসনিক যন্ত্র ব্যবহার করে আমাকে পরাজিত করানো হয়েছে। নির্বাচনের আগের রাত থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি তা-ব চালিয়েছে। আমার নেতা-কর্মীদের দেখা মাত্র নির্বিচারে লাঠিচার্জ করেছে। বাড়িতে গিয়ে হামলা করেছে। নৌকা প্রতীক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত টি-শার্ট বা ব্যাজ লাগানো কাউকে ভোটকেন্দ্রে বা রাস্তায় যেখানে পেয়েছে লাঠিচার্জ করে তা খুলে নিয়েছে।” টেলিফোনে বারবার এ বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা সত্ত্বে¡ও কোনো প্রতিকার পাননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিষয়টি জানতে সাংসদ রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
কুড়িগ্রামে টানা ৬ দিন বন্যায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। মানুষজনবিস্তারিত পড়ুন
চৌদ্দগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ৫
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে রিলাক্স পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশেরবিস্তারিত পড়ুন
টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে ধর্ষকদের হাতে তুলে দেন স্বামী, অতঃপর…
কুমিল্লায় ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে তিন ধর্ষকের হাতে তুলেবিস্তারিত পড়ুন