সাকিবদের হারিয়ে প্লে অফের দরজায় গুজরাট
১২৪ রান করেও ম্যাচ জেতা যায়। কিন্তু ম্যাচটাই কলকাতা নাইট রাইডার্স খেলতে নেমেছিল বড় ধাক্কাকে সঙ্গী করে। এবারের আইপিএলে তাদের সর্বোচ্চ ১৫ উইকেট শিকারী পেসার আন্দ্রে রাসেল খেলতে পারেননি ইনজুরির কারণে। গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বোলাররা শুরুতে আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তা ধরে রাখতে পারেননি। আর শুরুতে তো ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ। তাতে বৃহস্পতিবার কানপুরে গুজরাটের কাছে কেকেআর হারলো ৬ উইকেটে। গুজরাট ১৩ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। প্লে অফের দরজায় দাঁড়িয়ে তারা। ১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্টে থাকা কেকেআরের প্লে অফে খেলা কিছুটা সংশয়ে এখন। শেষ ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে হারাতেই হবে তাদের।
৮ উইকেটে ১২৪ রান করেছিল কেকেআর। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসানও ব্যর্থদের তালিকায়। ৬ নম্বরে ব্যাট করেছেন। ৮ বলে ৩ রান করে ক্যাচ দিয়ে ফেরায় দলের বিপদ আরো বেড়েছে। এরপর ১৩.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ১২৫ রান করে জয় তুলে নেয় গুজরাট। সাকিবের হাতে বলই দেননি গাম্ভির। গুজরাট অধিনায়ক সুরেশ রায়না ৩৬ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থেকে জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
৪ উইকেট নিয়ে ডোয়াইন স্মিথ কেকেআরকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছিলেন। কিন্তু অঙ্কিত রাজপুত ইনিংসের প্রথম বলেই ব্যাটসম্যান স্মিথকে (০) শিকার করে ফেললেন। পরের ওভারে স্পিনার সুনীল নারিন বিপজ্জনক ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে (৬) তুলে নেন। কেকেআরের আশার পালে হাওয়া লাগে। দিনেশ কার্তিকও (১২) দ্রুত ফিরে যান। চাপে পড়ে গুজরাট।
প্রথম সন্তানের জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকার জন্য একটি ম্যাচ মিস করেছেন রায়না। প্রথম ওভারেই উইকেটে এসেছেন তিনি। হাল ধরেছেন শক্ত হাতে। মাঝে অ্যারন ফিঞ্চ দ্রুত ২৬ রান দিয়ে গেছেন। রায়নার সাথে তার ৫৯ রানের জুটি ম্যাচটা হাতে নিয়ে আসে। রায়না ফিফটি করেছেন ৩৪ বলে। এরপর সহজ জয় নিয়ে হাসি মুখে মাঠ ছেড়েছেন।
এর আগে কেকেআরের সর্বনাশটা করেছেন মিডিয়াম পেসার স্মিথ। ৪ ওভারে ৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে আইপিএলের কিপ্টে বোলিংয়ের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। তিনি একা হাতেই ধ্বসিয়ে দিয়েছেন নাইটদের টপ অর্ডার। চতুর্থ ওভারে গাম্ভির (৮) রান আউট হলেন। স্মিথ তার পর চার ওভারে তুলে নিলেন চার উইকেট। শিকার করলেন মনিস পান্ডে (১), উথাপ্পা (২৫), পিউশ চাওলা (১১) ও সাকিবকে (৩)। উথাপ্পা একটু রান করতে পেরেছেন। অন্যদের দাঁড়াতে দেননি স্মিথ।
সাকিব ৫৫ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর এসেছিলেন। কিন্তু থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন ইউসুফ পাঠান। দলীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান তার। সূর্যকুমার যাদব (১৭) ও জ্যাসন হোল্ডার (১৩) কিছুটা অবদান রাখতে পেরেছেন। কিন্তু বোলারদের যে পুঁজিটা ব্যাটসম্যানরা দিয়েছিলেন তা যথেষ্ট হয়নি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন