সাবধান! সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এই ভুল করবেন না!
ঘুম থেকে সকালে জেগে ওঠার পর মনমেজাজ খারাপ থাকে? সকালটা কখনোই ভালো কাটতে চায় না? নাশতা বাদ পড়ে যায়? ছোট্ট কয়েকটা ভুল এড়িয়ে চললেই দিনের শুরুটা হতে পারে দারুণ।
তাড়াহুড়ো নয়
সকাল শুরু করুন ধীরেসুস্থে। শরীর ও মনকে জেগে ওঠার সময় দিন। ঘুম ভাঙলেই উঠে বসুন এবং বিছানা ছাড়ুন। এতে ঘুমের সময় সুপ্ত থাকা শক্তির ভারসাম্য ঠিক থাকে।
পেশি শিথিল করুন
ঘুম থেকে ওঠার সময় আমাদের দেহের পেশিগুলো, বিশেষ করে মেরুদণ্ড শক্ত হয়ে থাকে। পেশিকে শিথিল ও সম্প্রসারণ করে দিনের শুরু করলে দিনভর শরীর সতেজ থাকে। ঘুম ভাঙার পর তাই ধীরেসুস্থে নড়াচড়া করুন, হাত-পা ও দেহের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সন্ধিস্থলগুলো নাড়ান। তিনচারবার এমনটা করে কয়েকটা গভীর নিশ্বাস নিন।
চা পানে দিনের শুরু নয়
শরীরের ভালো বিপাক ক্রিয়ার গোপন রহস্য হলো- চা পানের মধ্য দিয়ে দিনের শুরু না করা। অনেকেই ঘুম থেকে জেগেই চায়ের কাপ হাতে না নিলে শান্তি পান না। কিন্তু দুধ-চিনিসহ বা ছাড়া চা-কফির বদলে লেবুর শরবত বা পানির মতো ক্ষারীয় কিছু দিয়ে দিন শুরু করুন। প্রয়োজনে কিছুক্ষণ পর সাদা, সবুজ বা কালো চা পান করুন দুধ-চিনি ছাড়াই।
ফোনের দিকে খেয়াল নয়
ঘুম ভাঙার পরপরই ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন না। ই-মেইল দেখা, ফেসবুক-টুইটারে ঢোকাসহ সারা বিশ্বের যাবতীয় সমস্যা নিয়ে যদি দিন শুরুর দু’-এক ঘণ্টার মধ্যেই ডুবে যান, তাহলে প্রয়োজনীয় কাজগুলোতে ব্যাঘাত ঘটতে বাধ্য। এতে সৃজনশীলতা ও উৎপাদনশীলতাও কমে যায় এবং দিনের শুরুতেই মনমেজাজ খারাপ হয়ে দিনভর সমস্ত কাজকর্মে তার প্রভাব পড়ার এটি অন্যতম কারণ।
নাশতা বাদ দেয়া নয়
সকালের নাশতা সময়মতো না করার সাথে দেহের অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস, দুর্বল বিপাক ক্রিয়া ও হজমশক্তি ভালো না হওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। আর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত না হলে এর প্রভাব পড়ে মনেও। যদি সকালে নাশতা না করেন, তাহলে দিনভর সমস্ত খাবারই ভুল বাছাই করবেন। তাই রাজার হালে না খেলেও কিছু অন্তত সময়মতো খেয়ে নিন।
ঝঞ্ঝাটের মেজাজে দিনের শুরু নয়
খুব ব্যস্ততা বা ঝঞ্ঝাটের মেজাজে দিন শুরু করেন অনেকেই। কাজের লোকের সাথে খারাপ ব্যবহার, পথ চলতে বাসে-গাড়িতে সহযাত্রী বা অন্যান্য সমস্যা নিয়ে নিজের মনেই গজগজ করা দিয়ে দিন শুরু করলে এর প্রভাবও পড়বে দিনভর সমস্ত কাজকর্মে। তাই মাথা ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করুন। ঘুম ভেঙেই ব্যতিব্যস্ত না হয়ে নিজেকে একটু শান্ত রাখুন, মাত্র ২০ মিনিটেই সমস্ত অশান্তি মন থেকে দূর হয়ে যাবে।
আগেই করুন পরিকল্পনা
পরের দিনটিতে কী করবেন, কী খাবেন, কোন পোশাক পড়বেন- এসব থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনে দৈনন্দিন কাজকর্মের প্রায় সবটারই পরিকল্পনা সেরে ফেলুন আগের দিন। তাহলে মনের ওপর চাপ কম পড়বে এবং কাজ অনেকটাই এগিয়ে থাকবে। সকালের নাশতায় কী খাবেন, তাও ভেবে রাখুন আগের রাতেই।
নিকোটিন বা ক্যাফেইনের উষ্ণতা বাদ
অনেকেই দিনের শুরু করেন সিগারেট বা চা-কফি দিয়ে। এতে দিনের শুরুতেই কয়েক ঘণ্টার জন্য দেহের পুষ্টিগুণাগুণ থেমে থাকে। দিন শুরু করার সেরা উপায় হলো ফল বা সবজির রস পান, ধূমপান বা কফি পান নয়। খালি পেটে নিকোটিন বা ক্যাফেইন শরীরে ভীষণ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন