সাব্বির-আল আমিনরা ভুল করবেই: আশরাফুল
সেই ছবিটা এখনো ক্রিকেট ভক্তদের হৃদয়ে গেঁথে আছে। ২০১৩ সালের জুনে চোখের জল ফেলতে ফেলতে মোহাম্মদ আশরাফুল বলে উঠেছিলেন, ‘আমি গোটা জাতির কাছে, আর আমার ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাইছি। যা করেছি তার জন্য আমি ভীষণভাবে লজ্জিত।’ ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত থাকার সেই সরল স্বীকারোক্তি তাকে ঠেলে দিয়েছিল অন্ধকার এক জগতে। নিষিদ্ধ হন সব ধরনের ক্রিকেটে। তারপর অন্ধকার সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় আলো হয়ে দেখা দিয়েছিল তার ভাল মানুষী। অনেক বিনিদ্র রাতের পর এ বছরের আগস্টে সীমিত পরিসরে ফিরেছেন চেনা ক্রিকেটাঙ্গনে।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের সঙ্গে দেশের অন্য ঘরোয়া খেলা নিয়ে ব্যস্ত এখন আশরাফুল। টেস্ট ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ এই সেঞ্চুরিয়ান সিরাজগঞ্জ লিগ মাতাচ্ছেন। এইতো দু’দিন আগে ঝড়ো এক ফিফটি দিয়ে স্থানীয় দর্শকদের উত্তাল করে দেন। কেমন লাগছে মফস্বলের সেই ঘরোয়া ক্রিকেট? উত্তরে মঙ্গলবার বলছিলেন, ‘অবশ্যই ভাল লাগছে। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে আসলে বুঝতে পারি আমি এখনো সবার কাছে সেই আশরাফুলই আছি। আমাকে কেউ ভুলে যায়নি। তাছাড়া ব্যাট হাতে রান আসছে।’
ভুলের সেই পথ পাড়ি দিয়ে এসে বেশ অনুধাবনও এসেছে ৬১ টেস্ট খেলে ২৭৩৭ রান করা এই ক্রিকেটারের জীবনে। তাইতো সাব্বির রহমান কিংবা আল আমিন হোসেনরা যখন ভুল করেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টা নিতে পারেন না তিনি। যেমনটা বলছিলেন, ‘দেখুন, শুধু সাব্বির-আল আমিন কেন, সবাই ভুল করবে। আমরা যখন মানুষ তখন তো ভুল হবেই। ক্রিকেটাররা ভিন্ন জগতের কেউ নয়। আমাদের সামনে অপশন বেশি থাকে বলে ভুলের দরজাটাও থাকে বেশি। এখন কথা হচ্ছে সেই ভুলগুলো যেন কম হয়, সেদিকেই আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।’
এবারের বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্বে ‘নারীঘটিত কেলেঙ্কারি’তে জড়িয়ে মোটা অংকের অর্থের জরিমানা গুনতে হচ্ছে সাব্বির-আল আমিনকে। ভুল করছেন উদীয়মান ক্রিকেটাররাও। নিজের জীবন দিয়ে আসলে শৃঙ্খলা নামের শব্দটাকে পুরোপুরি আত্মস্থ করা অ্যাশ তাদের সবার জন্য বললেন, ‘সবাইকে মনে রাখতে হবে, ক্রিকেটের বাইরেও একটা জীবন আছে। মাঠের মতো সেই জীবনটা নিয়েও সতর্ক থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, একটু ভুলে সারা জীবনের অর্জন ধুলোয় মিশে যেতে পারে! আমি অন্তত ভাগ্যবান, যে আমাকে সেই ভুলের পর সবাই শুধরে নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে। এ কথা আমি অনেকবার বলেছি যে আমার মতো ভুল আর কেউ যেন না করে।’
সেই সুযোগে এখন মুল স্রোতে ফিরে আসার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ১৭৭ ওয়ানডে খেলা ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। লাল-সবুজদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই প্রতিভা হার মানতে নারাজ। আবারো ফিরতে চান জাতীয় দলে। তার আগে নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে লড়ে যাচ্ছেন আশার ফুল থেকে ক্ষণিকের ভুলে ঝরা ফুল বনে যাওয়া এই তারকা। পরিবর্তন ডটকমকে বলছিলেন, ‘আবার শুরু করতে পেরে ভাল লাগছে। মাঠের বাইরে থেকে রীতিমতো হাঁপিয়ে উঠেছিলাম, অবশেষে ব্যাট-বল ফিরে পেলাম। ফিরে এলো ব্যস্ত সময়। খুবই ভাল লাগছে।’
সেই ভাল লাগার রেশ নিয়ে ১৮ ডিসেম্বর ক্রিকেট খেলতে কাতার যাওয়ার কথা জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কের। স্বপ্নের নাটাই ছেড়ে দিয়ে আশরাফুল বলছিলেন, ‘আবারো জাতীয় দলে ডাক পেতে লড়ে যাব। তার আগে নিজেকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে প্রস্তুত করে নিতে চাই। আমি জানি কোনো স্বপ্নই অসম্ভব নয়। ইনশাআল্লাহ, একদিন আমি আবারো জাতীয় দলে খেলব।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন