সাড়ে ৯ বছর পর মুশফিককে ছাড়াই টেস্ট দল
প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সাউদির বাউন্সারে হাসপাতালে যাওয়ার আগে ৫৩টি বল খেলেছিলেন মুশফিক। যার এক তৃতীয়াংশই ছিল ‘মারণাস্ত্র’। অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে খেলতে গেলে এমন পরিস্থিতির সামনে পড়তে হবে এটা স্বাভাবিক।
কিন্তু যার হাতের আঙুলে আগে থেকেই চিড়, তিনিই কী না আবারো ব্যাট হাতেই নামলেন। নেমেও কী আর রেহাই পেলেন, একের পর এক বাউন্স তার আহত আঙুলকে আরও থেঁতলে দিতে ছুটে এসেছিল?
তারপরও খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। কিন্তু হঠাৎ সাউদির সেই ‘মরণঘাতি’ বাউন্সার। তৎক্ষণাত মাটিতে শুয়ে গেলেন। চারদিক থেকে দৌড়ে আসলেন নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। একে একে এসে তার অবস্থার কথা জিজ্ঞেস করতেছিল। কিন্তু অবস্থার অবনতি দেখে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাঠ থেকে নেয়া হল হাসপাতালে। ততক্ষণে দ্বিতীয় ইনিংসে দলের অবস্থাও ভালো নেই। তাই হাসপাতাল থেকে এসেও ব্যাট হাতে নামতে চেয়েছিলেন মুশফিক। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট আর মুশফিকুর রহিম বলতে গেলে অবিচ্ছেদ্য এক সম্পর্কই। কিন্তু ইনজুরি আর নিয়তি তো মেনে নিতেই হবে।
তাই দ্বিতীয় টেস্টে খেলা হচ্ছে না ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের। সবচেয়ে বড় কথা সাড়ে ৯ বছর পর মুশফিককে ছাড়া টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ।
সেই সময় অধিনায়ক ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল, ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে এখন যিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ। তখন খেলছিলেন হাবিবুল বাশার, যিনি এখন নির্বাচক। তখন জাভেদ ওমর, মোহাম্মদ রফিকরা খেলতেন। টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে তখনও স্বপ্ন দেখতেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। সেটি ২০০৭ সাল।
সেবার শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে যথারীতি উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়েছিলেন খালেদ মাসুদ। ততদিনে উইকেটের সামনে তার পারফরম্যান্স নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ওই সফরে প্রথম টেস্টেও বাজে পারফরম্যান্সের পর দ্বিতীয় টেস্টে দেওয়া হলো বাদ। জায়গা পেলেন মুশফিক।
ততদিনে ২০০৫ ও ২০০৬ সালে দুটি টেস্ট খেলে ফেলেছেন মুশফিক। দুটিই ছিল ব্যাটসম্যান হিসেবে। মাসুদ বাদ পড়ায় সুযোগ পেলেন প্রথমবার কিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলার। কলম্বোর পি সারা ওভালে দ্বিতীয় ইনিংসে খেললেন ৮০ রানের দারুণ এক ইনিংস। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। মাসুদের ক্যারিয়ারের ইতি, মুশফিক অধ্যায়ের সূচনা।
সেই অধ্যায় টানা চলে এসেছে এতদিন। ২০০৭ সালের জুলাই থেকে এই ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের আগ পর্যন্ত বদলে গেছে অনেক কিছু, কিন্তু বাংলাদেশের টেস্ট দলে মুশফিকের নাম ছিল অবিচল। এই সময়ে খেলেছেন বাংলাদেশের ৪৯ টেস্টের সবকটি। তার ফেরার সেই টেস্টের একাদশের একমাত্র তিনি ছাড়া আর কেউ নেই এখনকার দলে। আততায়ী চোট থামাল তাকেও।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন