সিনেমার গল্পের মতো নববধূ তাহসিনাকে ছিনিয়ে নিলো জাহেদ
নিউজ ডেস্ক: বিয়ের এক সপ্তাহ পর স্ত্রী তাহসিনাকে নিয়ে সিলেটের সংরক্ষিত বনাঞ্চল আলুরতল এলাকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন সুইডেন প্রবাসী রিফাত আহমদ। কিন্তু সিনেমার মতো ঘটলো পরের দৃশ্যাবলী। হঠাৎ একদল যুবক নির্জন স্থানে এসে হামলা চালায় রিফাতের ওপর। হকিস্টিক, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ছিনিয়ে নিয়ে গেল নববধূ তাহসিনাকে। আর এ ঘটনায় সিলেটের শাহপরাণ থানা
পুলিশ অপহৃত তাহসিনাকে উদ্ধার করতে রাতভর নগরের পূর্ব এলাকার কমপক্ষে ১০টি স্থানে অভিযান চালায়। অবশেষে ভোররাত ৪টার দিকে হোটেল কক্ষ থেকে তিন যুবকসহ ওই নববধূকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই প্রবাসী বধূ অপহরণ ও উদ্ধার নিয়ে তোলপাড় চলছে সিলেটে। তবে পিতা কিংবা স্বামীর জিম্মায় যেতে চাচ্ছে না পুলিশের কাছে উদ্ধার হওয়া তাহসিনা।–মানবজমিন।
এ কারণে পুলিশ তাকে আজ সিলেটের আদালতে হাজির করবে। তাহসিনার পুরো নাম তাহসিনা ইসলাম। বাসা সিলেট নগরীর উশহরের এলাকায়। তাহসিনা সিলেটের নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। আর সুইডেন প্রবাসী রিফাতের বাড়ি সিলেট নগরীর মীরাবাজারের উদ্দীপন আবাসিক এলাকায়। পুলিশ জানায়, রিফাত দীর্ঘদিন ধরে সুইডেনে বসবাস করছেন। তিনি ওখানকার বৈধ নাগরিক।
গত ৪ঠা আগস্ট রিফাত বিয়ে করার জন্য সুইডেন থেকে সিলেটে নিজ বাড়িতে আসেন। এরপর গত ৭ই আগস্ট রিফাতের সঙ্গে তাহসিনা ইসলামের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ভালোই চলে তাদের সংসার। এদিকে গত রোববার বিকালে স্ত্রী তাহসিনা ইসলামকে নিয়ে ঘুরতে বের হন রিফাত। গাড়ি নিয়ে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে যান এমসি কলেজ এলাকায়। সেখানে ঘোরাঘুরির পর তারা চলে যান আলুরতল উদ্যানে। সেখানে তারা দু’জন হাঁটাহাঁটি করছিলেন। তখন একদল যুবক হকিস্টিক লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।
এ সময় তারা তাহসিনাকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিতে চাইলে বাধা দেন রিফাত আহমদ। এক পর্যায়ে যুবকরা রিফাতরাকে হকিস্টিক ও লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। এবং তাহসিনা ইসলামকে নিয়ে চলে যায়।
ঘটনার পরপরই রিফাত স্বজনদের মাধ্যমে শাহপরাণ থানা পুলিশকে অবগত করেন। খবর পেয়ে শাহপরাণ থানা পুলিশ এসে রিফাতকে উদ্ধার করে। এরপর তার কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে অভিযান শুরু করেন। রাতে পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিংসহ নানা প্রযুক্তিগত অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে নগরীর পূর্ব এলাকার কমপক্ষে ১০টি স্থানে অভিযান চালায়। কিন্তু কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না তাহসিনাকে।
অবশেষে সোমবার ভোররাত ৪টার দিকে শাহপরাণ থানা পুলিশ শাহপরাণ ফটকের আবাসিক বন্ধন হোটেল থেকে তাহসিনাকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ একই কক্ষ থেকে মোসাদ্দেক আহমদ জাহেদ, মাইনুল আহমেদ ও আলকাছুর রহমানকে আটক করে।
গতকাল বিকাল পর্যন্ত থানায় রেখে পুলিশ অপহৃত তাহসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বিকালে শাহপরাণ থানার এসি একেএম সাজ্জাদুল আলম মানবজমিনকে জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া তাহসিনা ইসলাম পিতা কিংবা স্বামীর জিম্মায় যেতে চাচ্ছে না। সে এক সময় বলছে তাকে অপহরণ করা হয়েছে। আবার বলছে জাহেদকে সে পূর্বে থেকে চেনে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় সুইডেন প্রবাসী রিফাত বাদী হয়ে মামলা দিচ্ছেন। সেই মামলা অনুযায়ী মেয়েকে আদালতে পাঠানো হবে। পুলিশের হাতে আটক হওয়া মোসাদ্দেক আহমদ জাহেদও নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজের চতুর্থ কলেজের শিক্ষার্থী। তাহসিনা ও জাহেদ একই ক্লাসের সহপাঠী।
শাহপরাণ থানার ওসি শাহজালাল মুন্সী জাহেদ ও তাহসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানিয়েছেন, তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এবং স্বামীকে নিয়ে বেড়াতে বের হওয়ার পর জাহেদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাহসিনার। তারা নির্জন এলাকায় যাওয়া মাত্র জাহেদ দলবল নিয়ে তাহসিনাকে অপহরণ করে। এ সময় তারা প্রবাসী রিফাতকে মারধর করেছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন
চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন
চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন